নয়া দিল্লি: ফের কোভিডের (Corona Virus) প্রকোপ বাড়ছে একাধিক রাজ্যে। বিশেষ করে দিল্লির ছবিটা ভাবাচ্ছে সরকারকে। বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে ২৯৫ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হন। দিল্লিতে করোনার পজিটিভিটি রেট ১২.৪৮ শতাংশ। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৩২। যদিও বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার কিছুটা কমেছে দিল্লির সংক্রমণ। বুধবার ৩০০ জন করোনা আক্রান্ত হন রাজধানীতে। পজিটিভিটি রেট ছিল ১৩.৮৯। দিল্লির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ জানান, নমুনার জেনম সিকোয়েন্সিংয়ে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে করোনা ভাইরাসের XBB ভ্যারিয়েন্টের জন্যই সংক্রমণ। একইসঙ্গে এর সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গিয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলেনি।
পজিটিভি রেট উপরের দিকে, এখনও অবধি দিল্লিতে ২ জন মারাও গিয়েছেন, তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, প্যানিক করার মতো পরিস্থিতি নয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল শুক্রবার বৈঠকে বসছেন। কোভিড নিয়ে রিভিউ মিটিং করবেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজের আবেদন, সকলে যেন মাস্ক পরে বেরোন।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে ৭০০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত পাঁচ মাসে সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এদিন। সোলাপুর, সাংলি জেলায় পজিটিভিটি অনেকটাই বেশি। মার্চে সোলাপুরে ২০.০৫ ও সাংলিতে ১৭.৪৭ শতাংশ পজিটিভিটি রেট।
কোভিড মোকাবিলায় সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই বৈঠকে রাজ্যগুলিকে আবারও টিকাকরণের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোভিড মোকাবিলায় বেশ কিছু বিষয়ে জোর দিতেও বলা হয়েছে। শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আরটি-পিসিআরের পরামর্শ কেন্দ্রের। রিপোর্ট পজিটিভ এলে তা যেন ল্যাবে পাঠানো হয়। কারণ, নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট হাজির হল কি না, তা জানাও দরকার। একইসঙ্গে কোভিড হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার সবরকম বন্দোবস্ত রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন, ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা যাতে থাকে রাজ্য যেন সেদিকে নজর রাখে, পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।