বাংলা-সহ ৫ রাজ্যে রেকর্ড সংক্রমণ! উপায় খুঁজতে রাজ্যপালদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনা (COVID Situation) ঢেউ।  মঙ্গলবার দেশের ৫ রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

বাংলা-সহ ৫ রাজ্যে রেকর্ড সংক্রমণ! উপায় খুঁজতে রাজ্যপালদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 14, 2021 | 9:14 AM

নয়া দিল্লি:  দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনা (COVID Situation) ঢেউ।  মঙ্গলবার দেশের ৫ রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্যমহলকে ৷  সব রাজ্যের রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় বৈঠক। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, স্বাস্থ্য মন্ত্রক যে সব নির্দেশিকা পাঠিয়েছে, প্রকাশ করেছে, তা কঠোরভাবে মানার ওপরই জোর দেওয়া হবে।

করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যপালদের সঙ্গে এই প্রথমবার বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কোভিড আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ২৪৮ জন। ভয়াবহ সংক্রমণ বাংলাতেও। রাজ্যে ১ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮১৭ জন। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ১২৭১ ৷  রাজ্যে সংক্রমণের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। দেশের এই উদ্ভূত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সব কটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী চার সপ্তাহে দেশ জুড়ে অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি। হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশবাসীর সহায়তা ছাড়া অতিমারি পরিস্থিতির মোকাবিলা করা কঠিন, বলছে কেন্দ্র। বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে ভারত। বাংলা সরকারও কড়া পদক্ষেপ করছে। ইতিমধ্যেই নবান্নে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন-সম নিষেধাজ্ঞা জারি মহারাষ্ট্রে, কী কী খোলা থাকবে আগামী ১৫ দিন?

কোভিড মৃত্যু ঠেকাতে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির চিকিৎসকদের নিয়ে চারটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই চারটি কমিটিতে রাখা হবে প্রায় ৪০ জন চিকিৎসককে। গতকালই রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার পার করেছে। দ্রুত পেরোচ্ছে সংক্রমণের হার। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।