করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন-সম নিষেধাজ্ঞা জারি মহারাষ্ট্রে, কী কী খোলা থাকবে আগামী ১৫ দিন?
বুধবার থেকে আগামী ১৫ দিন কেবল জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেই যাতায়াতে ছাড় দেওয়া হবে। বন্ধ থাকবে যাবতীয় শপিং মল, সমু্দ্র সৈকত।
মুম্বই: ভয়ঙ্কর গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। নৈশ কার্ফু বা সপ্তাহ শেষে লকডাউন জারি করেও লাভ হচ্ছে না। লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই এক ধাপ কড়া হল মহারাষ্ট্র সরকার। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানান, আগামী ১৫দিন কেবল জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেই যাতায়াতে ছাড় দেওয়া হবে। বন্ধ থাকবে সমস্ত প্রতিষ্ঠান।
বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের ৫০ শতাংশেরই খোঁজ মিলছিল মহারাষ্ট্র থেকে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে না চাইলেও লকডাউন করা হতে পারে। গত সপ্তাহ থেকেই সংক্রমণ রুখতে সপ্তাহ শেষে লকডাউন জারি হয়েছিল। এ বার আরও এক ধাপ কড়া হল রাজ্য সরকার। কার্যত লকডাউনের মতো কড়া নিয়বিধিই জারি হল।
বুধবার রাত আটটা থেকেই জারি হবে এই নতুন নিয়ম। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেবল জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেই যাতায়াতে ছাড় দেওয়া হবে। পরিচারিকা, গাড়ির চালকদেরও এই শ্রেণিতে গণ্য করা হবে কিনা, তার সিদ্ধান্ত স্থানীয় পরিস্থিতি যাচাই করে নেওয়া হবে।
কী কী খোলা থাকবে?
- হাসপাতাল, ক্লিনিক, টিকাকরণ কেন্দ্র, ডায়গোনস্টিক সেন্টার, ওষুধের দোকান সহ চিকিৎসা সম্পর্কিত যাবতীয় প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। ওষুধ ও টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলিও প্রস্তুত ও সরবরাহের জন্য খোলা থাকবে।
- পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ও পশুদের খাবারের দোকান খোলা থাকবে।
- খোলা থাকবে কোল্ড স্টোরেজগুলিও।
- যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিমান, ট্রেন, ট্যাক্সি, অটো ও বাস চালু থাকবে।
- বিভিন্ন দূতাবাস খোলা থাকবে।
- স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যাবতীয় কাজ চালু থাকবে। অর্থাৎ রাস্তা সারাই থেকে পাইপ লাইন সারাই-এই কাজগুলি চালু থাকবে।
- খোলা থাকবে রিসার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াও।
- শেয়ারা বাজার এবং বাজার সম্পর্কিত যাবতীয় কাজ পুরনো নিয়মেই চালু থাকবে।
- পণ্য পরিবহন ও রফতানি-আমদানি ব্যবস্থাও চালু থাকবে।
- কৃষিকাজেও কোনও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়নি।
- ছাড় দেওয়া হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের ক্ষেত্রেও।
- এছাড়াও পেট্র পাম্প, এটিএম ও ডাক পরিষেবা চালু থাকবে।
মহারাষ্ট্রে মঙ্গলবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ২১২ জন, যা চলতি বছরের অন্যতম সর্বোচ্চ সংক্রমণের সংখ্যা।