TV9 বাংলা ডিজিটাল: ভারত সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণের অধ্যায় পেরিয়ে এসেছে। বরং নতুন বছরের গোড়াতেই হয়তো এই মারণ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে পারে ভারতবাসী, এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার নিয়োজিত কমিটি।
কোভিড-১৯-(COVID-19) সংক্রমণের একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করতে কেন্দ্রের তরফে IIT ও ICMR-এর সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি কমিটি। সেই কমিটির পর্যবেক্ষণ, ভারত করোনা ভাইরাসের (coronavirus) সর্বোচ্চ সংক্রমণ মাত্রা অতিক্রম করে এসেছে এবং সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম মেনে চললে আগামী বছরের মধ্যেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
তবে আসন্ন উৎসবের মরশুম ও শীতকালে সংক্রমণ (Coronavirus in India) ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতে পারেই বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। কমিটির তরফ থেকে বলা হয়, উৎসবের রেশ কাটতেই প্রতি মাসে সংক্রমণের হার ২৬ লক্ষ ছুঁতে পারে। দেশের মোট জনসংখ্যার কেবল ৩০ শতাংশ মানুষের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বললেও স্বাস্থ্যবিধির (Health Measures) উপর জোর দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। কমিটির তরফে জানানো হয়, “যদি সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলা হয়, তবে পরের বছরেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। ফেব্রুয়ারির শেষে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হবে নূন্য়তম। ” কমিটির তরফে আরও বলা হয়, করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক শেষে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০.৫ মিলিয়ন অর্থ্যাৎ ১ কোটি ৫ লাখের কাছাকাছি থাকবে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ লাখ।
ভারতে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) এখনও পর্যন্ত মৃত্যের সংখ্যা এক লাখ ১৪ হাজারের কাছাকাছি। সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারত লকডাউন(Lockdown) না হলে। লকডাউনের উপযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করে তাঁরা জানান, যদি মার্চ মাসে লকডাউন (Lockdown)না করা হত, তবে অগস্ট মাসের মধ্যে ২৫ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হত। সঠিক সময়ে লকডাউন করার ফলেই সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তবে বর্তমানে আর লকডাউনের (Lockdown) প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই তাঁরা মনে করছেন । কমিটির মতে, দেশকে সম্পূর্ণভাবে সচল করার দিকেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।
আসন্ন উৎসবের মরসুমে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কেরালার উদাহরণ টেনে কমিটি জানায়, ২২ অগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর অবধি ওনাম (Kerala Onam) উৎসব চলার পরই ৮ সেপ্টেম্বর বিপুল সংক্রমণ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায় । সেপ্টেম্বর মাসে কেরালায় ৩২ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার হার ২২ শতাংশ কমেছে। ফলে দুর্গাপুজো, নবরাত্রি, দিওয়ালিতে সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনে চললে একই চিত্র দেশের বাকি জায়গাগুলিতেও দেখা যেতে পারে।