নয়া দিল্লি: আফ্রিকার গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর পর এখন আলোচনায় হরিয়ানার একটি সংস্থার তৈরি চারটি কাশির সিরাপ। তবে, বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এই সিরাপগুলির একটিও ভারতে বিক্রি হয় না। শুধুমাত্র রফতানির জন্যই এই পণ্যগুলি উৎপাদন করা হয়। এই চারটি ওষুধ, এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে বিক্রি হয়েছে।
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, তারা গাম্বিয়াকে এই বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং পরামর্শ প্রদান করছে। শিশু মৃত্যুর পিছনে ডাইইথিলিন গ্লাইকল (Diethylene glycol) বা ইথিলিন গ্লাইকলের (Ethylene glycol) মধ্যে কোনও একটি উপাদান দায়ী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই উপাদানগুলি প্রশ্নের মুখে থাকা ওই কাশির সিরাপগুলিতে ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু নমুনায় এই দূষণ নিশ্চিত করার দাবি করেছে ‘হু’। তাদের পরীক্ষা করা ২৩টি নমুনার মধ্যে ৪টিতে ডিইজি বা ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন অবিলম্বে বিষয়টি হরিয়ানা স্টেট রেগুলেটরি অথরিটিকে জানিয়েছিল। ওই সংস্থার ওষুধ উৎপাদন ইউনিটটি হরিয়ানার সোনিপতেই অবস্থিত। সেটি হরিয়ানা স্টেট রেগুলেটরির এক্তিয়ারাধীন। তাদের সহযোগিতায় এই বিষয়ে তথ্য ও বিশদ বিবরণ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই চার কাশির সিরাপ তৈরির জন্য সংস্থাটির কাছে রাষ্ট্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার শংসাপত্র রয়েছে। তবে, ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে শুধুমাত্র রফতানির জন্যই এই পণ্যগুলির তৈরির অনুমতি দিয়েছে। সংস্থাটি শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে এই পণ্যগুলি রফতানি করে। মন্ত্রক আরও বলেছে, সাধারণত আমদানিকারক দেশ এই পণ্যগুলিকে গুণমান পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে তবেই সেগুলি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।
হু আরও জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতেই ওষুধগুলির বিশদ বিশ্লেষণ করে তার রিপোর্ট ভারতীয় নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে ভাগ করে নেবে তারা। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ওই সংস্থার উৎপাদিত একই ব্যাচের নমুনা সংগ্রহ করেছে। সেগুলি চণ্ডীগঢ়ের আঞ্চলিক ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলাফল এলে পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার।