ঘোলাটে চোখ, দাঁড়াতেও পারছিল না, স্কুলের ভিতরে কি না এই কাজ করলেন প্রিন্সিপাল ও শিক্ষক…হাঁ করে দেখল সবাই
School: গ্রামবাসীরাই প্রথম লক্ষ্য করেন যে প্রিন্সিপাল ও শিক্ষক অদ্ভুত আচরণ করছেন। নিজেদের মধ্যেই হাসাহাসি করছেন, সোজাভাবে দাঁড়াতেও পারছেন না। কয়েকজন কথা বলতে গেলে শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল তাদের গালিগালাজ করতে শুরু করেন।
পটনা: ক্লাস শুরু হয়েছে, টলোমলো পায়ে ঢুকলেন শিক্ষক। পড়ুয়াদের পড়াবেন কি, সোজাভাবে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও নেই। স্কুলে আকণ্ঠ মদ্যপান করে হাজির শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জানাবেন, তার উপায়ও নেই। স্কুলের প্রিন্সিপালও যে মত্ত। শিক্ষকের সঙ্গেই মদ্যপান করে এসেছেন তিনি। বিষয়টি অভিভাবকরা জানতে পেরেই হইচই পড়ে যায়। স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান তারা।
‘ড্রাই স্টেট’ বিহার। মদ নিষিদ্ধ সেখানে। আর সেই রাজ্যেই আকণ্ঠ মদ্যপান করে স্কুলে হাজির প্রিন্সিপাল ও শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নালন্দা জেলায়। জানা গিয়েছে, স্কুলের প্রিন্সিপাল নগেন্দ্র প্রসাদ ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক সুবোধ কুমার মত্ত অবস্থায় স্কুলে এসেছিলেন।
গ্রামবাসীরাই প্রথম লক্ষ্য করেন যে প্রিন্সিপাল ও শিক্ষক অদ্ভুত আচরণ করছেন। নিজেদের মধ্যেই হাসাহাসি করছেন, সোজাভাবে দাঁড়াতেও পারছেন না। কয়েকজন কথা বলতে গেলে শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল তাদের গালিগালাজ করতে শুরু করেন।
এরপর গ্রামবাসীরা পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশ স্কুলে গিয়ে দেখেন, দুই শিক্ষকই মত্ত অবস্থায় বসে রয়েছেন। তারা সোজাভাবে দাঁড়াতেও পারছেন না। পুলিশ ওই দুই শিক্ষককে টেনে প্রিজন ভ্যানে তোলে।
এরমধ্যেই আবার নতুন বচসা শুরু হয়। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে একজন মদ্যপ অবস্থায় এসেছিলেন। তাঁকে ঘিরেও নতুন করে বচসা হয়। ওই আধিকারিককে থানায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ওই প্রিন্সিপাল ও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের স্কুল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।