Murder Case: দেহ একজনের, সুইসাইড লেটারে লেখা অন্যের নাম! শিরা কাটা-মুখ থ্যাতলানো দেহ ঘিরে বাড়ছে রহস্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 02, 2022 | 9:46 AM

Noida Murder: অভিযুক্ত অজয় ঠাকুরের প্রেমিকা পায়েল ভাটির সঙ্গে শারীরিক গড়নে প্রচুর মিল ছিল হেমা চৌধুরীর। এমনকী মুখেরও বেশ কিছুটা মিল ছিল।

Murder Case: দেহ একজনের, সুইসাইড লেটারে লেখা অন্যের নাম! শিরা কাটা-মুখ থ্যাতলানো দেহ ঘিরে বাড়ছে রহস্য
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

নয়ডা: নিছকই প্রতিহিংসার বশে খুন নাকি পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও বড় রহস্য? এক যুবতীর দেহ উদ্ধার ঘিরেই দানা বেঁধেছে রহস্য। বৃহস্পতিবার নয়ডা পুলিশের তরফে জানানো হয়, এক যুবতীকে খুনের অভিযোগে ২২ বছরের এক যুবতী ও তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে যুবতীকে ওই দুইজন খুন করেছেন, তিনি একটি শপিং মলের কর্মী ছিলেন। গত মাস থেকেই ওই যুবতী নিখোঁজ ছিলেন। যে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, তার পাশ থেকেই পাওয়া গিয়েছিল একটি সুইসাইড লেটার। সেই চিঠি দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপরই তদন্তের সূত্র ধরে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, এক যুবতীকে খুনের অভিযোগে গ্রেটার নয়ডা থেকে এক যুবতী ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত যুবতীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত ও পরে গ্রেফতার করা হয় ওই দুইজনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমা চৌধুরী নামে ওই যুবতী গ্রেটার নয়ডার একটি শপিংমলে কাজ করতেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় অজয় ঠাকুর নামক এক যুবকের। পরিচয় ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে গড়ায়।

পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত অজয় ঠাকুরের প্রেমিকা পায়েল ভাটির সঙ্গে শারীরিক গড়নে প্রচুর মিল ছিল হেমা চৌধুরীর। এমনকী মুখেরও বেশ কিছুটা মিল ছিল। সেই কারণেই হেমাকে নিশানা বানায় অজয় ও পায়েল। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কোনও এক সময়ে তারা হেমার হাতের শিরা কেটে খুন করে। এরপরে তাঁর দেহের পাশে একটি সুইসাইড লেটার রেখে যায়। তবে ওই চিঠিতে নিহত হেমার নাম নয়, বরং পায়েলের নাম উল্লেখ ছিল। পরিচয় যাতে বোঝা না যায়, তার জন্য ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করে মুখটিও সম্পূর্ণ থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশের অনুমান, পায়েলের নকল মৃত্য়ু প্রতিষ্ঠিত করতেই অভিযুক্তরা হেমাকে খুন করে। শারীরিক গড়নে মিল থাকার জন্যই হেমাকে বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। মুখ দেখে যাতে কেউ শনাক্ত না করতে পারে, তার জন্য় মুখটিও থেঁতলে দেওয়া হয়। পাশে রাখা সুইসাইড লেটারটির মাধ্যমেই আত্মহত্যা প্রমাণের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। তবে কী কারণে এই খুন করেছেন তারা, তা এখনও জানা যায়নি।

Next Article