নয়া দিল্লি: নদীর গতিপথ বদলে যাচ্ছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলাকে কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তর করল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ও বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়।
কী রয়েছে এই মামলায়? মামলাকারীর বক্তব্য, ব্যক্তিগত স্বার্থে নদীর বাঁধ কেটে নদী প্রবাহে বদল আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে সংলগ্ন গ্রামগুলিতে। আদালতে তিনি জানান, এই নদীর প্রবাহপথ বদলের চেষ্টা সফল হলে ক্ষতির মুখে পড়লেন আশপাশের গ্রামের মানুষ। চাষবাসের কাজ খুবই প্রভাবিত হবে।
প্রধান বিচারপতি মামলাকারীর কাছে জানতে চান, “আপনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছেন। যেখানে এই নদী প্রভাবিত হচ্ছে তাও পশ্চিমবঙ্গেই। ওই নদী প্রবাহিতও হয় পশ্চিমবঙ্গেই। সবকিছুই পশ্চিমবঙ্গে। তা হলে আপনি কেন সরাসরি সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারায় এলেন?” প্রসঙ্গত ভারতীয় সংবিধানের ৩২ নম্বর আর্টিকাল অনুযায়ী কেউ চাইলে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। মামলাকারীও তাই করেছেন।
মামলাকারীর বক্তব্য, এ নিয়ে নদী তীরবর্তী জমির যিনি মালিক তিনি কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন, হাইকোর্ট মামলাটির নিষ্পত্তিও করে। কিন্তু যাঁরা এর জেরে প্রকৃত অর্থে প্রভাবিত হয়েছেন, তাঁদের অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য কিছুই হয়নি। প্রধান বিচারপতি জানান, মামলাকারীর বক্তব্য ঠিকই, কারও কখনও নদীর গতিপথ বদলে ফেলার অধিকার নেই। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনের কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে এই আবেদন রেজিস্ট্রির কথাও বলা হয়।