নতুন বছরেও দাপট কমছে না ওমিক্রনের। পাল্লা দিচ্ছে করোনা সংক্রমণও। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে দেশ তথা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে সংক্রমণ। একমাসেই বিশ্বের ১১৭টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। বিশ্বের একাধিক দেশে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে করোনা টিকাকরণ। করোনা ও ওমিক্রন সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট দেখে নিন একনজরে-
আর জি কর মেডিকেল কলেজে গত সাতদিনে মোট ২১ জন করোনা পজিটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে ৮ জন চিকিৎসক এবং ১৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী। করোনার হানার জেরে চিকিৎসক পড়ুয়াদের পরীক্ষা বাতিল করার পাশাপাশি হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত খালি থাকবে হস্টেল। হস্টেলে তৈরি হবে আইসোলেশন কেন্দ্র। আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের হস্টেলে আইসোলেশনে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত আর জি কর কর্তৃপক্ষের।
মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে ১২ হাজার ১৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন। মুম্বইয়ে ৪০ জন ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ছোটদের করোনা টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রথম দিনেই রাত ৮ টা পর্যন্ত ১৫-১৮ বছর বয়সি ৪০ লাখেরও বেশি কিশোর কিশোরীদের করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
মুম্বইয়ের করোনা পরিস্থিতি (COVID 19 Situation in Mumbai) ক্রমেই জটিল আকার নিচ্ছে। সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, মুম্বই শহরে ৭ হাজার ৯২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কড়া সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে মুম্বই পুরসংস্থা। প্রয়োজনে লকডাউনের মতোকঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রধান ইকবাল সিং চহাল জানিয়েছেন, বাণিজ্য নগরীতে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের ঊর্ধ্বে উঠে গেলে এই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, দৈনিক আক্রান্তের ৮০ শতাংশই ওমিক্রন স্ট্রেন। .
আরও পড়ুন: Mumbai COVID 19: দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজার পেরোলেই লকডাউন মুম্বইয়ে?
কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান চিকিৎসক এন কে অরোরা আশঙ্কা করছেন, অতিমারি তৃতীয় ঢেউ ভীষণভাবে প্রকট। তাঁর কথায়, “ভারত স্পষ্টতই করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ চলছে। পুরো ঢেউটি একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের দ্বারা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে – ওমিক্রন।” বিগত চার-পাঁচ দিনের করোনা পরিস্থিতি থেকে তা আরও স্পষ্ট বলে মত তাঁর। উল্লেখ্য বিগত দিনগুলিতে “আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি” পেয়েছে৷
কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধানের মতে, মুম্বই, দিল্লি এবং কলকাতার মতো বড় শহরগুলিতেই ওমিক্রনে আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশ। এন কে অরোরার মতে, “ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আমরা করোনার নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রথম সংক্রমণের সন্ধান পেয়েছিলাম। গত সপ্তাহে, গোটা দেশে মোট সংক্রমণের প্রায় ১২ শতাংশ ছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা অনেকটাই বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট সংক্রমণের ক্ষেত্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়েছে ২৮ শতাংশ।”
তৃতীয় ঢেউ এসেছে কি না, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেননি বিশেষজ্ঞরা। তবে সংক্রমণের চিত্র তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রত্যেকদিন সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। একদিকে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত হচ্ছেন নেত-মন্ত্রীরাও। আর নিয়ম মাফিক বিমানবন্দরে পরীক্ষা করতেই সামনে আসছে একের পর এক সংক্রমণ। রবিবারের পর সোমবারও দুবাইগামী বিমানে ওঠার আগে আক্রান্ত হলেন একাধিক যাত্রী।
বিস্তারিত পড়ুন : Corona Update: পরীক্ষা হতেই কলকাতা বিমানবন্দরে একের পর এক যাত্রীর শরীরে ধরা পড়ল করোনা
দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ৬ জন চিকিৎসক। এই নিয়ে গত ৭ দিনে আক্রান্ত হলেন ২৩ জন।
এবার করোনা আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সোমবার টুইটে করোনা আক্রান্ত হেওয়ার খবর নিজে জানিয়েছেন তিনি। আপাতত বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি হবেন বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
কলকাতায় ফিরছে কনটেনমেন্ট জ়োন (Containment Zone in Kolkata)। শহরের ২৫ টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পুরনিগমের বৈঠকে সোমবারই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ফিরছে সেফ হোমের ব্যবস্থাও। প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম সহ মোট তিনটি সেফ হোম চালু করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকেই শহরে ফিরছে সেফ হোম।
এর পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন বহুতলগুলির লিফ্ট স্যানিটাইজ় করতে হবে বলেও সোমবার পুরনিগমের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্যানিটাইজ়েশন করতে হবে প্রত্যেক বাজার এলাকাকেও। বাজারে প্রত্যেক বিক্রেতার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই বিষয়ে পুলিশকে কড়া ভূমিকা পালন করতে বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যাঁরা মাস্ক পরবেন না, তাঁরা বাজারে বিক্রি করতে পারবেন না বলেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মেয়র।
আরও পড়ুন : Containment Zone in Kolkata: শহরে ফিরল কনটেনমেন্ট জ়োন, চিহ্নিত ২৫ টি এলাকা
মুম্বই থেকে গোয়া যাচ্ছিল বিলাসবহুল প্রমোদ তরণী কর্ডেলিয়া (Cordelia Cruise)। সেই প্রমোদ তরণীর এক কর্মী করোনায় (COVID 19) আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। ওই প্রমোদ তরণীতে থাকা দুই হাজারেরও বেশি মানুষের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
কর্ডেলিয়ার ওই কর্মীকে জাহাজেই আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ১ হাজার ৪৭১ জন যাত্কী এবং ৫৯৫ জন কর্মীর সোয়াবের নমুনা আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অবশ্য এখনও আসা বাকি রয়েছে। জাহাজটি বর্তমানে ভাস্কোর মরমুগাও বন্দরের ক্রুস টার্মিনালে নোঙর করা হয়েছে।
এবার করোনার থাবা খড়গপুরে। আক্রান্ত আইআইটি-র ৩১ জন পড়ুয়া। আপাতত তাঁদের প্রত্যেককেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে খড়গপুর আইআইটি-তে।
করোনা আক্রান্ত রেলের বহু আধিকারিক। শতাধিক কর্মীর শরীরে ধরা পড়ল ভাইরাস সংক্রমণ। ২১০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, তার অর্ধেকই করোনা আক্রান্ত।
এনআরএসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জন করোনা আক্রান্ত। যার মধ্যে ইন্টার্ন ১৭ জন, পিজিটি ২ জন, নার্সিং স্টাফ ১ জন ও রোগী ৪১ জন।
হাওড়া: রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে সরকার। রবিবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী সাংবািদক বৈঠক করে সেকথা ঘোষণা করেন। সেই মোতাবেক, রাজ্যের সমস্ত দর্শনীয় স্থান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের নির্দেশিকা পেতেই এ বার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বেলুড় মঠ (Belur Math)।
বিস্তারিত পড়ুন: Belur Math: ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ! নতুন বছরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বেলুড় মঠ
রাজধানীর ওমিক্রন (Omicron cases in Delhi) পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হতে শুরু করেছে। ওমিক্রন সন্দেহে যে করোনা আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং (Genome Sequencing) করা হয়েছে, তার মধ্যে ৮৪ শতাংশেরই রিপোর্টে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন (Delhi Health Minister Satyendar Jain)।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩০ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যতগুলি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে ৮৪ শতাংশই ওমিক্রন পজিটিভ। আর এই তথ্য স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় ফেলেছে দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরকে।
আরও পড়ুন : Omicron Variant: জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ৮৪ শতাংশের নমুনায় ওমিক্রন! ভয় ধরাচ্ছে রাজধানী
করোনা সংক্রমণ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। সাধারণ মানুষের সতর্কতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। ভাইরাল গোয়ার ছবি। পর্যটকের ভিড় উপচে পড়ছে।
জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য বেসরকারি ল্যাবগুলিকে নমুনা পাঠাতে বারণ করে দিল স্বাস্থ্য ভবন। বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্র সূত্রের খবর, কলকাতা, সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের বাসিন্দা কিন্তু বিদেশ থেকে আসেননি, এরকম ব্যক্তিরা করোনা পজিটিভ হলে তাঁদের নমুনা বেসরকারি ল্যাবগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠাতে বলেছিল স্বাস্থ্য ভবন। কিন্তু সোমবার এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকের পর তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে খবর। তবে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের নমুনা আগের মতোই পাঠাতে পারবে বেসরকারি ল্যাবগুলি।
করোনার ক্রমাগত বৃদ্ধির মাঝেই ভয়ঙ্কর তথ্য জানালেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন। এদিন তিনি জানান, গত ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাজ্যে যত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে ৮৪ শতাংশই ওমিক্রনের।
এবার করোনার থাবাব এনআরএস হাসপাতাল। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার প্রথম সারির এই সরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। এর মধ্যে রয়েছেন স্ত্রীরোগ বিভাগ, কার্ডিওলজি, এসএনসিইউ’র রোগীরা। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন সংক্রমিতের তালিকায়। তবে স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসকদের তুলনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি বলে জানিয়েছেন এনআরএসের এমএসভিপি ইন্দিরা দে। অন্যদিকে সোমবার থেকেই এনআরএসের অ্যানেক্স হাসপাতাল আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে ১০০ শয্যার কোভিড পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
সবিস্তারে পড়ুন: এবার করোনার করাল থাবা এনআরএসে! একসঙ্গে ৬১ জন পজিটিভ
রাজ্যে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। পড়ুয়াদের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে আপাতত জয়পুরের সমস্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিল রাজস্থান সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ থেকে ৯ জানুয়ারি অবধি জয়পুরের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের পঠনপাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ থেকে শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। সকাল থেকেই বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রের বাইরে দেখা গেল টিকা নেওয়ার লম্বা লাইন।
Maharashtra | Vaccination drive for around 2.5 lakh children of Pune in the age group of 15 to 18 years have begun today at 40 vaccination centres. We will try to vaccinate all these children as soon as possible: Pune Mayor Murlidhar Mohol at Dalvi Hospital, Pune pic.twitter.com/IZGyAOdhKN
— ANI (@ANI) January 3, 2022
বাকি দেশের মতোই আমেরিকাতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এবার হোয়াইট হাউসেও ঢুকে পড়ল সেই সংক্রমণ। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। জানা গিয়েছে, মৃদু উপসর্গ দেখা দিলেও তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
যে ভাবে একের পর এক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন তার নিরিখে আমেরিকার পথে হাঁটতে হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আইসিএমআর।
শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কার্যত উদ্বেগজনক চেহারা নিয়েছে গত কয়েকদিনে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রত্যেকদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তবে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল, শহরে একাধিক হাসপাতালে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যাকর্মীরা। প্রথমে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ, তারপর চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদন। আর এবার রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি। একই সঙ্গে আক্রান্ত ১০ চিকিৎসক।
বিস্তারিত পড়ুন: Corona in Kolkata: এবার ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি! একসঙ্গে আক্রান্ত ১০ চিকিৎসক
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৭৫.৯ শতাংশ সংক্রমণই ৫ রাজ্য থেকে হচ্ছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্য়ে ৩৫.১৯ শতাংশের খোঁজই মহারাষ্ট্র থেকে মিলছে, অন্যদিকে মৃত্যু হারে ভয় ধরাচ্ছে কেরল।
বিস্তারিত পড়ুন: COVID-19 & Omicron Cases in India: উৎসবের ঠেলায় ৩৩ হাজার পার করোনার দৈনিক সংক্রমণ! ভয় ধরাচ্ছে ওমিক্রনও
করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭৫ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলায়, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০০-এ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে ৬৩৯ জন এখনও অবধি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্য়ের নিরিখে সর্বাধিক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে মহারাষ্ট্র থেকেই, সেখানে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫১০। এরপরই রয়েছে দিল্লি, সেখানে ৩৫১ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। কেরল (১৫৬), গুজরাট (১৩৬), তামিলনাড়ু (১২১), রাজস্থান (১২০)-এও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্ষবরণের আনন্দে বিধিনিষেধের গেরো শিথিল হতেই, ফের সিধ কেটে ঢুকে পড়েছে করোনা। এক ধাক্কাতেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য় অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩৩ হাজার ৭৫০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, এই নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ ২২ হাজার ৮৮২-তে। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও। একদিনেই ১২৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৯৩-তে।
রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজিতে ১০ জন চিকিৎসক কোভিড পজিটিভ। আরও ১০ জনের উপসর্গ রয়েছে। তাঁদের টেস্ট করতে বলা হয়েছে। অস্ত্রোপচার-সহ পরিষেবা চালু রাখা নিয়ে উদ্বিগ্ন আরআইও কর্তৃপক্ষ।
করোনার (COVID-19) দাপাদাপি তো রয়েছেই, তার উপরে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে ওমিক্রন (Omicron)। জোড়া সংক্রমণের ঠেলা সামলাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে কেরল (Kerala) সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (State Health Department) তথ্য অনুযায়ী, রবিবার কেরলে নতুন করে ৪৫ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই প্রথম রাজ্যে একদিনে এত সংখ্যক ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলল। একদিনে নতুন করে ৪৫ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, যা সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫২-এ।
বিস্তারিত পড়ুন: Kerala Omicron Cases: করোনার মাঝেই চোখ রাঙানি ওমিক্রনেরও! কেরলে একলাফে ১৫০ পার আক্রান্তের সংখ্যা
মহারাষ্ট্র লাগোয়া রাজ্য হওয়ায়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকেও সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে কর্নাটকে। সেই কারণেই বেলাগাভি, বিজয়পুরা ও বিদার জেলার প্রশাসনকে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কর্নাটকে যারাই প্রবেশ করবেন, তাদের সম্পূর্ণ করোনা টিকাকরণের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। একসঙ্গে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও দেখাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষের, বিশেষত বেলাগাভির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
বিস্তারিত পড়ুন: Karnataka CM on COVID-19: ‘লকডাউন না চাইলে…’, বাড়তি সংক্রমণ নিয়ে ফের সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, “আমাদের (সরকার) অবস্থান খুবই স্পষ্ট। অতীতেও আমরা লকডাউন জারি করেছি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়। সেই কারণেই আমরা কঠোর বিধিনিষেধ জাকি করছি। সাধারণ মানুষের আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।”
কো-উইন প্ল্যাটফর্মে ছোটদের নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া, প্রাপ্তবয়স্কদের নাম নথিভুক্ত করার মতোই হবে। একই সঙ্গে রাখা হচ্ছে ওয়াক-ইন রেজিস্ট্রেশনের সুযোগও। এক্ষেত্রে সরাসরি টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি পেশ করলেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের নাম কো-উইন প্ল্যাটফর্মে নথিভুক্ত করে নেওয়া হবে এবং উপলব্ধ স্লট অনুযায়ী করোনা টিকা দেওয়া হবে।
কো-উইন প্ল্যাটফর্মে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে যেভাবে নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এবং ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি লাগে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়ায় নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এরপর স্লট অনুযায়ী নির্দিষ্ট টিকাকেন্দ্রে গেলেই টিকা পাওয়া যাবে। ২০০৭ সালের আগে যাদের জন্ম হয়েছে, তারাই আপাতত করোনা টিকা পাবে।
বিস্তারিত পড়ুন: Vaccination for Teen: অপেক্ষার অবসান! আজ থেকেই শুরু ছোটদের টিকাকরণ কর্মসূচি, কতটা প্রস্তুত দেশ?
প্রাপ্তবস্কদের জন্য একাধিক টিকার মধ্যে থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও, ছোটদের ক্ষেত্রে সেই সুযোগটা সীমিত। ভারতে আপাতত কেবল ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও জ়াইডাস ক্যাডিলার জ়াইকোভ-ডি ভ্যাকসিনই অনুমোদন পেয়েছে। তবে জ়াইডাসের টিকা এখনও দেশের টিকাকরণ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায়, ছোটদের কোভ্যাক্সিনের টিকাই নিতে হবে।
অপেক্ষার অবসান, আজ থেকেই শুরু হচ্ছে ছোটদের টিকাকরণ কর্মসূচি(Vaccination for Teenagers)। ১ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে কো-উইন পোর্টালে (Co-WIN) নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া (Registration Process)। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী, এমন ৬ লক্ষেরও বেশি নাবালক-নাবালিকারা কো-উইন প্ল্যাটফর্মে টিকা নেওয়টার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে।