AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘মরে যান’, সরকারি হেল্পলাইনে করোনা রোগীকে জবাব প্রতিনিধির!

সন্তোষ কুমার সিং ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিতেই তাঁরা গত ১০ এপ্রিল পরীক্ষা করান। ১২ এপ্রিল তাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাড়িতে থেকেই কীভাবে চিকিৎসা করা হবে, সে বিষয়ে জানতে তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের কোভিড হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০-১৮০-৫১৪৫ নম্বরে ফোন করেন।

'মরে যান', সরকারি হেল্পলাইনে করোনা রোগীকে জবাব প্রতিনিধির!
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Apr 17, 2021 | 11:41 AM
Share

লখনউ: করোনা আক্রান্ত হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী। বাড়িতে থেকেই কীভাবে চিকিৎসা করাবেন, তা জানতে সরকারি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেছিলেন। তবে চিকিৎসায় সহায়তা নয়, ও পার থেকে জবাব এল, “মরে যান”। করোনার বেহাল অবস্থা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় অবহেলায় ফের একবার কাঠগড়ায় যোগী রাজ্যই।

গতবছর করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের সমস্ত হাসপাতাল যখন পরিপূর্ণ ছিল, তখনই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির তরফে জানানো হয়েছিল স্বল্প বা কোনও উপসর্গ না থাকলে করোনা রোগীরা বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে পারেন। চলতি বছরে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়েও জারি রয়েছে সেই নিয়ম। অধিকাংশ রোগীই থাকছেন হোম আইসোলেশনে। তবে চিকিৎসার জন্য নিয়মিত সরকারি ওয়েবসাইটে আপডেট করতে হয়। তবে বহু মানুষই হোম আইসোলেশনে থাকার নিয়ম জানেন না, সেই কারণেই চালু করা হয়েছে সরকারি হেল্পলাইন নম্বর গুলি।

জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা সন্তোষ কুমার সিং ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিতেই তাঁরা গত ১০ এপ্রিল পরীক্ষা করান। এরপর থেকে হোম আইসোলেশনেই ছিলেন তাঁরা। ১২ এপ্রিল তাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাড়িতে থেকেই কীভাবে চিকিৎসা করা হবে, সে বিষয়ে জানতে তিনি উত্তর প্রদেশ সরকারের কোভিড হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০-১৮০-৫১৪৫ নম্বরে ফোন করেন।

সেই সময় কেউ ফোন না ধরলেও ১৫ এপ্রিল রাত ৮টা ১৪ নাগাদ তিনি একটি ফোন পান। উত্তর প্রদেশের কোভিড-১৯ কম্যান্ড সেন্টার থেকে ফোন করা হয়েছে বলা হয়। ফোনের ও পার থেকে এক মহিলা প্রশ্ন করে তাঁরা হোম আইসোলেশন অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন কিনা। সন্তোষ কুমার এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলতেই রেগে যান ওই মহিলা। সরাসরি ওই মহিলা তাঁদের অজ্ঞ বলে অপমান করে মরে যেতে বলেন।

সরকারি পরিষেবায় এই ধরনের জবাব পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও লখনউয়ের জেলা সাসক অভিষেক প্রকাশের কাছে গোটা ঘটনা জানিয়ে ব্যাখ্যা দাবি করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তোষ কুমারের বাবা মনোহর সিং বিজেপির লখনউ মহানগর ইউনিটের সভাপতি ছিলেন।

আরও পড়ুন:  Live Corona Cases and Lockdown News: ২ লাখ ৩৪ হাজারের ঘরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনেই মৃত্যু ১৩৪১ জনের