জিএসটি মুক্ত হল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ ‘অ্যাম্ফোটেরিসিন বি’, কর ছাড় চিকিৎসা সামগ্রীতেও

ঋদ্ধীশ দত্ত |

May 28, 2021 | 9:13 PM

ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ধার্য হওয়া জিএসটি ন্যূনতম করা হতে পারে এমন সম্ভবনার কথাও শোনা গিয়েছিল। আজকের বৈঠকের পর সেই বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।

জিএসটি মুক্ত হল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন বি, কর ছাড় চিকিৎসা সামগ্রীতেও
ছবি- পিটিআই

Follow Us

কলকাতা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে প্রথমবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর একাধিক চিকিৎসা সামগ্রীর উপর থেকে কর তুলে নিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। শুক্রবার কাউন্সিলের বৈঠকের পর করোনা এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসার ওষুধের ক্ষেত্রে কার্যকর থাকা জিএসটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও করোনা চিকিৎসার কোন কোন জিনিসের উপর থেকে কর ছাড় দেওয়া হবে তা বিশদে এখনও জানানো হয়নি।

জিএসটি কাউন্সিলের ৪৩ তম বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত ত্রাণের কাজে আসা কোনও সামগ্রীর ক্ষেত্রে জিএসটি ধার্য করা করা হবে না। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেনা হোক বা অনুদানে পাওয়া হোক, ত্রাণ অথবা চিকিৎসার কাজে ব্যবহার হওয়া কোনও পণ্যের উপর আমদানি কর নেওয়া হবে না আগামী ৩ মাস।

একই সঙ্গে দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বহুল ব্যবহৃত ওষুধ ‘অ্যাম্ফোটেরিসিন বি’-কেও জিএসটি মুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এ বাদেও কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহার হওয়া বহু সামগ্রীকে জিএসটি-র আওতা থেকে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে কোন ক্ষেত্রে কতটা ছাড় দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে জানাননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগামিকালের মধ্যে মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি ৮ জুনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তারপর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ঠিক করা হবে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার হওয়া কোন জিনিসের উপর কতটা কমানো হবে জিএসটি-র হার।

আরও পড়ুন: ‘মমতার অহংকারের সামনে তুচ্ছ জনগণের স্বার্থ’, বিজেপির টুইট-ধারায় বিদ্ধ তৃণমূল নেত্রী

যদিও আজকের বৈঠকের আগে একটা জল্পনা বারবার করে উঠে এসেছিল। করোনার টিকাকে জিএসটি-র বাইরে রাখা হবে কি না এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ধার্য হওয়া জিএসটি ন্যূনতম করা হতে পারে এমন সম্ভবনার কথাও শোনা গিয়েছিল। আজকের বৈঠকের পর সেই বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন বাবদ দুই প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ৪,৫০০ কোটি টাকা দিয়েছে। আগামী সময় ভ্যাকিসনের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কলাইকুণ্ডায় মমতার কারণে ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন মোদী, দাবি সূত্রের

Next Article