AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vedik Plaster: নিম পাতা দিয়ে ইট, গোবর দিয়ে ঘরের প্লাস্টার তৈরি করে ১০ লক্ষ টাকা আয় শিবশঙ্করের

হরিয়ানার ওই প্রফেসারের নাম শিবদর্শন মালিক। তিনি গোবর দিয়ে প্লাস্টার করার উপায় বের করেছেন।

Vedik Plaster: নিম পাতা দিয়ে ইট, গোবর দিয়ে ঘরের প্লাস্টার তৈরি করে ১০ লক্ষ টাকা আয় শিবশঙ্করের
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 6:53 PM
Share

হরিয়ানা: বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে ভারতেও। উত্তর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অসহনীয় গরম পড়ছে। এয়ার কুলার, এয়ার কন্ডিশনার লাগিয়েও অবস্থা থেকে মুক্তি মিলছে না। ইট, সিমেন্টের ঘর গরমে হয়ে উঠে ভ্যাপসা। আবার এয়ার কুলার বা এসি লাগানোর খরচও কিছু কম নয়। এই পরিস্থিতিতে কম খরচে পরিবেশ বান্ধব বাড়ি তৈরির উপাদান বানিয়েছেন হরিয়ানার এক প্রফেসর। এই উপাদানে তৈরি বাড়ি ভবিষ্যতে এসির প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

হরিয়ানার ওই প্রফেসারের নাম শিবদর্শন মালিক। তিনি গোবর দিয়ে প্লাস্টার করার উপায় বের করেছেন। নিম দিয়ে তৈরি করছেন ইট। নিমের তৈরি ইট এবং গোবর দিয়ে প্লাস্টার করলে বাড়ির তাপমাত্রা প্রায় ৭ ডিগ্রি কম থাকবে বলে দাবি ওই গবেষকের । এর জেরে বাড়ি তৈরিতে কার্বনের ব্যবহার কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

নরওয়ের পরিবেশ মন্ত্রী এরিক সোলহেম টুইটারে আপলোড করেছন ওই ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়ো আপলোড করে তিনি বলেছেন, “গরুর গোবর এবং নিম প্লাস্টারের মাধ্যমে ভারতীয় প্রফেসর প্রতি বছর ১০ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন। হরিয়ানার শিবদর্শন মালিক ভেদিক প্লাস্টারের উদ্ভাবন করেছেন। গোবর ও নিম দিয়ে করা হচ্ছে ইট। এই ধরনের ইট দিয়ে বাড়ি বানালে বাড়ির তাপমাত্রা প্রায় ৭ ডিগ্রি কম থাকবে। দারুণ ব্যবস্থা।” নরওরে মন্ত্রীর এই টুইট ইতিমধ্যেই দেখা হয়েছে ৩৭ লক্ষ বারেরও বেশি। লাইক পড়েছে হাজার হাজার।

সেই ভিডিয়ো দেখে জানা যাচ্ছে, শিবদর্শন গোবর, মাটি এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করছেন ইট। এর নাম তিনি দিয়েেন ভেদিক প্লাস্টার। এ দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে বাইরের তাপমাত্রা সহজে বাড়িতে ঢুকবে না। যার জেরেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঘরের তাপমাত্রা। এর জেরে এসি, কুলার চালানো কমে যাবে। যার জেরে কমবে বিদ্যুতের খরচ। এই ইটের ব্যবসা করেই বছরে ১০ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন ওই প্রফেসর।