CPIM General Secretary: সংখ্যালঘু ‘ভূমিপুত্রে’ ভরসা বামেদের! সীতারামের উত্তরসূরি কে এই আলেকজান্ডার?
CPIM General Secretary: ১৯৮৬ সালে এম এ বেবি সিপিআইএমের রাজ্যসভা সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ পর্যন্ত সেই পদেই বহাল থাকেন তিনি। এরপর রাজ্যসভা হয়ে এম এ বেবি নেমে পড়েন নিজের মাটির রাজনীতিতে।

মাদুরাই: রবিবাসরীয় দুপুরে মাদুরাইয়ে নির্বাচন হয়ে গেল সিপিআইএম-এর নতুন সাধারণ সম্পাদক। সীতারামের পর ‘রুগ্ণ’ দলের ব্যাটন ধরলেন এম এ বেবি। ২৪ তম পার্টি কংগ্রেসে ১৬ জন পলিটব্যুরোর মধ্যে ১১ জনের সমর্থন নিয়ে সংগঠনের ষষ্ঠ তম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হলেন মারিয়াম আলেকজান্ডার বেবি।
জানা গিয়েছে, বেবির ‘উত্থান’ নিয়ে দলের পলিটব্যুরোদের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয়েছিল বটে, তবে সেই মতামতের ফারাক রুখতে পারেনি তাঁকে। জানা গিয়েছে, সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের ‘বিরোধিতা’ করেছিল বাংলার বামেরা। ভোটাভুটিতে বেবির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন রাজ্য বামের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র ও রামচন্দ্র ডোম। কিন্তু সেই ভোটাভুটির খেলায় সিপিআইএমের ‘লাইন’ শেষমেশ যুক্ত হল কেরলেই, রাশ টানতে পারল না বাংলা।
বাংলার বামেদের তরফ থেকে মহম্মদ সেলিমকে সম্পাদকের দায়িত্ব নিতে বলা হলে, তিনি এড়িয়ে যান। পরিবর্তে এগিয়ে দেন কৃষকনেতা অশোক ধাওয়ালের নাম। কিন্তু মেলে না সম্মতি।
‘কেরল-পুত্র’ বেবি
কেরলের ভূমিপুত্র বেবি। এককালে রাজ্যসভায় সাংসদ ছিলেন। পরবর্তীতে সে রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রীও হয়েছিলেন। বলা হয়, বাংলায় যেমন সেলিম। তেমনই কেরলে বেবি। পরিচিতরা তাঁকে আবার ডাকেন ‘কুট্টি’ সম্বোধনে। ২০১২ সাল থেকে সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য এই ‘কুট্টি’। নাম শুনে ‘শিশু’ লাগলেও, তিনি ‘শিশু’ নন। কেরল রাজনীতির অলিতেগলিতে ছড়িয়ে রয়েছে বেবির নাম। বর্তমানে পলিটব্যুরো সদস্যদের মধ্য়ে তিনি সবচেয়ে বর্ষীয়ান এবং একমাত্র খ্রিস্টান মুখ।
এম এ বেবির জন্ম কেরলের সংখ্য়ালঘু গোষ্ঠীর একটি পরিবারে। বাম রাজনীতির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বেড়েছিল ছাত্রাবস্থা থেকে। স্কুল জীবনে থাকতেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আধার করেছিলেন স্টুডেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়াকে। পরবর্তীতে সেখান থেকে যোগ দেন DYFI-এ। সেই থেকে সক্রিয় ভাবে কেরলের বাম রাজনীতিতে ফুটে উঠছিলেন বেবি। DYFI-এ থাকাকালীন এম এ বেবি ধীরে ধীরে হাত পাকাতে শুরু করেন সিপিআইএমের ভোটের রাজনীতিতেও।
কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে ‘পা’
১৯৮৬ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে সিপিআইএমের রাজ্যসভা সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৮ পর্যন্ত সেই পদেই বহাল থাকেন তিনি। এরপর রাজ্যসভা হয়ে এম এ বেবি নেমে পড়েন নিজের মাটির রাজনীতিতে। ২০০৬ সালে নির্বাচনে জয় লাভ করে কেরলের শিক্ষামন্ত্রী পদে বসেন তিনি। পরবর্তীতে আবার ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে ফিরে যেতে কেরলের কোল্লাম থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়ালেও পরাজিত হন তিনি। অবশেষে ২০২৫ সালে সংগঠনের শীর্ষ পদে বসলেন বেবি।





