নয়া দিল্লি: ৪ থেকে ৬ অগস্ট নয়া দিল্লিতে হয়ে গেল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। তিনদিনের এই বৈঠকে মণিপুরের হিংসা, হরিয়ানার হিংসা, হেট ক্রাইম, জ্ঞানব্যাপী মসজিদ বিতর্ক, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দেওয়া, দিল্লি অধ্যাদেশ, জাতীয় সম্পদের লুন্ঠন, মহিলা এবং বালিকাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধের বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এছাড়া রক্তাল্পতা বিষয়ে সরকারি তথ্যের সত্যতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সিপিআই(এম)-এর কেন্দ্রীয় কমিটি। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলার সায়েন্সেসের ডিরেক্টর কেএস জেমস-কে সাসপেন্ড করার সমালোচনা করেছে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটি। এছাড়া, বন সংরক্ষণ (সংশোধনী) আইন ২০২৩ এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে ৯ অগস্ট আদিবাসী সংগঠনগুলি যে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, সেই কর্মসূচিকেও সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এর পাশাপাশি, একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটি –
১. মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবিতে ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বভারতীয় প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন করবে দলের সমস্ত ইউনিট।
২. যত শীগগির সম্ভব সকল বাম দলগুলিকে নিয়ে একটি সম্মেলন করা হবে। বামদলগুলির যে সাধারণ দাবিগুলি রয়েছে, সেই দাবিগুলি নিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে প্রচার চালানো হবে।
৩. কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার যৌথ প্ল্যাটফর্ম দ্বারা ঘোষিত কর্ম পরিকল্পনাকে সমর্থন করুন।
৪. ৫ অক্টোবর দিল্লিতে সর্বভারতীয় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি সর্বভারতীয় সমাবেশ ডেকেছে। সেই সম্মেলনকে যথাসম্ভভ সমর্থন করতে হবে।