শিলং: বাংলাদেশের অশান্তির আঁচ ভারতে! পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, ত্রিপুরা-সহ ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্ত ভাগ রয়েছে। এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার ইস্তফার সঙ্গে-সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে কারফিউ জারি করল মেঘালয় সরকার।
হাসিনা সরকারের পতনের সঙ্গেই ভারতে অনুপ্রবেশ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সীমান্তে শুরু হয়েছে বিএসএফ-এর কড়া পাহাড়া। তবে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কনরাড সাংমার সরকার। তাই এদিন সন্ধ্যাতেই মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রিস্টোন তাইনসোংয়ের তত্ত্বাবধানে বসে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, বিএসএফ-এর আইজি এবং ডিআইজি (অপারেশন)। এই বৈঠকেই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় মেঘালয় সরকার। এদিন রাত থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মেঘালয়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী প্রিস্টোন তাইনসোং সাংবাদিক বৈঠক করে কারফিউ জারির কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অশান্ত পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতেই মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জিরো পয়েন্ট থেকে ডেভিলা আন্তর্জাতিক পিলার পর্যন্ত ভারতের ভিতরে ২০০ মিটার অঞ্চলে কারফিউ জারি থাকবে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সীমান্ত বরাবর জারি থাকবে কারফিউ। যতদিন না বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি হয়, ততদিন পর্যন্ত এই কারফিউ জারি থাকবে।”
প্রসঙ্গত, এদিন সন্ধ্যা থেকে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি সীমান্তেই শুরু হয়েছে বিএসএফ-এর টহল।