নয়া দিল্লি: সোমবার রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এরপরই দফায় দফায় বৈঠক শুরু হয় নয়া দিল্লিতে। মঙ্গলবার সকালেও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, কী ভাবছে ভারত, সেই বিষয়েই সংসদে বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বিদেশমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। সব সরকারের আমলেই সেই সম্পর্ক অটুট থেকেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪-এ বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয়, সেই সময় থেকেই একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেড়েছে মেরুকরণ।”
জয়শঙ্কর উল্লেখ করেন, গত জুন মাসে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন। ক্রমশ হিংসাত্মক ঘটনা বাড়তে থাকে। সরকারি সম্পত্তিতে হামলা চলে, বাস ও রেল পরিষেবার ক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। জুলাই জুড়েও চলে সেই সংঘর্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার চেয়েছি কথাবার্তার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসুক।’
সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা করার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে সংসদে উল্লেখ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আন্দোলনকারীরা বারবার একটাই দাবি করতে থাকেন, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। ৪ অগস্ট থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। ৫ অগস্ট কার্ফু থাকা সত্ত্বেও ঢাকায় চলে আন্দোলন। এরপরই হাসিনা পদত্যাগ করেন। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতে চলে আসেন। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে এসেছেন তিনি।”
বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে যে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করেছেন বিদেশমন্ত্রী। কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ভারতীয়দের সঙ্গে।