বাংলাদেশ: অস্থির পরিস্থিতি বাংলাদেশে। সরকারের পতন হয়েছে সোমবার। দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন শেখ হাসিনা। কোন পথে এগোবে প্রশাসন, সরকার গঠন কীভাবে হবে, তা নিয়ে এখনও রয়েছে অনেক ধোঁয়াশা। স্কুল-কলেজ খুলে গেলেও শুরু হয়নি পঠন-পাঠন। সীমান্তগুলিতেও রয়েছে অস্থিরতা। এরই মধ্যে চরম সঙ্কটের মুখে ভারত বাংলাদেশের ব্যবসা।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় বানিজ্য সহযোগী বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে রফতানির পরিমাণ একধাক্কায় অনেকটাই কমেছে। ২০২২-২৩-এ ২০০ কোটি ডলারের রফতানি হয়েছিল, ২০২৩-২৪-এ সেটা কমে হয়েছে ১৮৪ কোটি ডলার। ভারত থেকে মূলত বাংলাদেশে যে সব জিনিস যায়, সেগুলি হল- সবজি, কফি, চা, মশলা, চিনি, তেল, রাসায়নিক, তুলো, ইস্পাত, গাড়ি। আর বাংলাদেশ থেকে মূলত ভারতে আসে মাছ, প্লাস্টিক, চামড়া ও জামাকাপড়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মুদ্রাস্ফীতির জন্য বাংলাদেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ক্রমশ কমছে। ডলারের ঘাটতিতে বাংলাদেশে আমদানি কমেছে। তার প্রভাব পড়েছে ভারতেও। স্থলপথে ব্যাবসায়িক আদান প্রদানে খামতি হলে পশ্চিমবঙ্গেও প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা বর্ডার সিল করেছে ভারত সরকার। সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ যাওয়া ১৯০ জন ট্রাক ড্রাইভারকে ভারতে আনা হয়। চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত দিয়ে। পণ্য আমদানি এবং রফতানি বন্ধ হয়ে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে, অর্থনীতিবিদ সুপর্ণ মৈত্র বলেন, “ভারতের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। ব্যবসায় প্রভাব পড়লে, এরকম অস্থির পরিস্থিতি থাকলে স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হবে।” বেঙ্গল চেম্বার্স অফ কমার্স কর্মকতা জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশে ডলারের শর্টেজ দেখা যাচ্ছে। ওই দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। আমদানি রফতানিতে প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি শান্ত না হলে ব্যবসায় প্রভাব পড়বে।”