আহমেদাবাদ: বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় গুজরাটের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়েছে ‘অতি তীব্র’ ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। বিপর্যয়ের দাপটে বহু বিদ্যুতের খুঁটি এবং গাছ উপড়ে গিয়েছে, কমপক্ষে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি মারা গিয়েছে ২৩টি পশুও। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, দমকা হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে গুজরাটের বিভিন্ন স্থানে ৫২৪টিরও বেশি গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি উপরে গিয়েছে। ফলে প্রায় ৯৪০টি গ্রাম এখন বিদ্যুৎহীন। আবহাওযা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ল্যান্ডফলের সময় গুজরাটের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যায়। রাজ্যের সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। দিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, ১৬ জুন দুপুর ১২টার মধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এগিয়ে যাবে রাজস্থানের দিকে। ঝড়ের গতিবেগ নেমে আসবে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ল্যান্ডফলের পর শক্তি হারিয়ে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গুরুতর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
A narrow escape
Biparjoy Cyclone.#Biporjoy #biparjoycycloneGujarat #CycloneBiporjoy #Gujarat #BiparjoyUpdate pic.twitter.com/jFetR9hfIY— Vibhor Mohan (@thevibhu90) June 16, 2023
ঘুর্ণিঝড় আসার আগেই অবশ্য গুজরাটে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই কারণে প্রাণহানির সংখ্যা অনেক কম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। যে কোনও প্রয়োজনে তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। গুজরাটের ত্রাণ বিভাগের কমিশনার অলোক সিং বলেছেন, “ঝড়ের কারণে প্রায় ২২জন আহত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর নেই। ২৩টি পশু মারা গিয়েছে, ৫২৪টি গাছ উপড়ে গিয়েছে এবং কিছু জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটিও পড়ে গিয়েছে। যার কারণে বিদ্যুৎ নেই ৯৪০টি গ্রামে।” পরে গুজরাটের ভাবনগর থেকে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর আসে। গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটি চাপা পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে ফোন করে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর ল্যান্ডফলের পরে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Cyclone Biparjoy landfall in Gujrat pic.twitter.com/v5Tfe8H93E
— team_bilawal (@NEWS_BILAWAL) June 15, 2023
#गुजरात #ब्रेकिंग
गुरुवार की शाम गुजरात तट से टकराया बिपरजॉय चक्रवात
125 से 140 किमी प्रति घंटा से चल रहीं हवाएं
भारी तूफान में 22 लोग घायव व 23 मवेशियों की मौत
940 गांवों की गुल हुई बिजली
#CycloneBiporjoy #BiparjoyCyclone #biparjoycycloneGujarat #CycloneBiparjoykarachi pic.twitter.com/VYKqu4SIVn— Journalist Cafe (@journalist_cafe) June 16, 2023
আইএমডি-র আধিকারিকরা আগেই সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ অঞ্চলের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ল্যান্ডফলের পর, আইএমডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘গুরুতর’ ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় এখনও সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলের উপরই কেন্দ্রীভূত রয়েছে এবং সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যে কারণে, শুক্রবার রাজস্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমডি ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, “ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়েছে এবং গুজরাটের জাখাউ বন্দরের কাছে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ সংলগ্ন পাকিস্তান উপকূল অতিক্রম করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি এখন সমুদ্র থেকে স্থলভাগে চলে গিয়েছে এবং সৌরাষ্ট্র-কচ্ছের দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। অতি গুরুতর ঘূর্ণিঝড় থেকে এটি গুরুতর ঘূর্ণিঝড়ে পরিবর্তিত হয়েছে। ১৬ জুন রাজস্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।”
#WATCH | Gujarat: Trees uprooted and property damaged in Naliya amid strong winds of cyclone ‘Biparjoy’ pic.twitter.com/d0C1NbOkXQ
— ANI (@ANI) June 16, 2023
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৯ জুন দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থানে এবং ১৮ জুন দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বারমের এবং জালোরের বাসিন্দাদের আসন্ন ঘূর্ণিঝড় এবং বৃষ্টিপাত নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এবং শনিবার ভারী সম্ভাবনা রয়েছে যোধপুর এবং উদয়পুরেও। এছাড়া, শুক্রবার জয়সলমির, বারমের, জালোর এবং যোধপুরে এবং শনিবার যোধপুর, উদয়পুর এবং আজমেরে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে শক্তিশালী ঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। ইতিমধ্যেই মুখ্য সচিব, ডিজিপি এবং আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় এবং এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন, ।