Cyrus Mistry’s death: সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, তদন্ত রিপোর্ট দিল মার্সিডিজ় এবং আরটিও

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Sep 08, 2022 | 4:07 PM

Cyrus Mistry's death: বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর), পালঘর পুলিশের কাছে সাইরাস মিস্ত্রির সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল মার্সিডিজ় এবং রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস। সামনে এল আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Cyrus Mistrys death: সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য, তদন্ত রিপোর্ট দিল মার্সিডিজ় এবং আরটিও
কী বলছে মার্সিডিজ় সংস্থার তদন্ত রিপোর্ট?

Follow Us

মুম্বই: দুর্ঘটনায় নিহত টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর বিষয়ে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। বৃহস্পতিবার পালঘর পুলিশের কাছে এই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ়। দুর্ঘটনার সময় একটি মার্সিডিজ জিএলসি ২২০ডি ৪এসএটিআইসি (Marcedes GLC 220d 4MATIC) গাড়িতে করেই যাচ্ছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি এবং আরও তিনজন। এদিন রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসও তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে পুলিশের কাছে। দু-দু’টি রিপোর্ট থেকে কী জানা গেল? ৬৮ লক্ষ টাকার গাড়িতে অত্যাধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মৃত্যু হল এই ভারতীয় শিল্পপতির?

প্রথমে দেখা যাক, মার্সিডিজ় সংস্থার রিপোর্ট কী বলছে। তাদের প্রতিবেদনে, মার্সিডিজ-বেঞ্জ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দুর্ঘটনার মাত্র ৫ সেকেন্ড আগে পর্যন্তও গাড়িটির গতি ছিল ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার। চালক ব্রেক লাগালে গতি কমে ৮৯ কিমি প্রতি ঘণ্টায় নেমে এসেছিল। ওই গতিতেই রাস্তার ডিভাইডারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। আরও তথ্য সংগ্রহ করতে, মার্সিডিজ সংস্থা দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর তাদের শোরুমে নিয়ে যাবে। হংকং থেকে এক বিশেষজ্ঞ দল আসছে গাড়িটি পরিদর্শন করতে। তারাই এই বিষয়ে বিশদ প্রতিবেদন দেবে। তারা সময়মতো এসে না পৌঁছলে ভারতের এক বিশেষজ্ঞ দলই এই প্রতিবেদন তৈরি করবে।

এবার দেখা যাক আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসের রিপোর্টে কী বলা হয়েছে? আরটিও-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটিতে মোট চারটি এয়ারব্যাগ ছিল। তবে, চারটিই ছিল গাড়ির সামনের অংশে। চারটি এয়ারব্যাগই দুর্ঘটনার সময় যথাযথভাবে খুলেছিল। এগুলির মধ্যে একটি ছিল চালকের মাথার সামনে, একটি তার হাঁটুর কাছে, একটি ছিল চালকের মাথার উপরে। অপর এয়ারব্যাগটি ছিল চালকের পাশের আসনের যাত্রীর সামনে।

প্রসঙ্গত, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সময় সাইরাস মিস্ত্রি তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গীর পান্ডোল ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনাহিতা পান্ডোল। তাঁর পাশের আসনে বসেছিলেন দারিয়াস পান্ডোল। আর পিছনের আসনে ছিলেন, সাইরাস মিস্ত্রি ও জাহাঙ্গীর পান্ডোল। দুর্ঘটনার সাইরাস ও জাহাঙ্গীর নিহত হন। চালক অনাহিতা পান্ডোল এবং দারিয়াস গুরুতর আহত হয়েছেন। এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। নিশ্চিতভাবে না বলা গেলেও, উপরের দুই রিপোর্ট থেকে অনুমান করা যায়, এয়ারব্যাগই চালক ও তার পাশের আসনে থাকা যাত্রীকে এই ক্ষেত্রে বাঁচিয়ে দিয়েছে।

Next Article