নয়া দিল্লি: এজলাস বদলের জটে গতকাল সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গিয়েছিল রাজ্যের ডিএ মামলা (DA Case)। ফের শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খান রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। ‘রাজনীতির স্বীকার হলাম’,বলেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের প্রধান মলয় মুখোপাধ্য়ায়। প্রায় একমাস পর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে হবে এই ডিএ মামলার শুনানি। আর বেঞ্চে যাঁর আগমন নিয়ে এত উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা ছিল সরকারি কর্মীদের মধ্য়ে তিনিই থাকবেন না বলে জানা গিয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ডিএ মামলার শুনানি হবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই তবে নতুন বেঞ্চে হবে শুনানি। আর এই নয়া বেঞ্চে থাকবেন না বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
প্রসঙ্গত, বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে বিচারপতি ঋষিকেশ রায় ও দীপঙ্কর দত্ত এই মামলা গ্রহণ করেননি। দুই বাঙালির ডিভিশন বেঞ্চে এই শুনানি হওয়ার কারণে সরকারি কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে যে উচ্ছ্বসিত তা ভাল চোখে নিচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট। তাই তাঁরা এই মামলা শুনতে অস্বীকার করেন। আর ফের একবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালি হাতে ফিরতে হয় রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের।
উল্লেখ্য, বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী ও বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের বেঞ্চেই রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি হচ্ছিল। তবে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, এই বেঞ্চে দীনেশ মহেশ্বরী থাকছেন না। তাঁর জায়গায় আসছেন সদ্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত দীপঙ্কর দত্ত। আর বিচারপতি ঋষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, দুই বাঙালির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে ‘অতি উৎসাহে’ ভাসছিলেন সরকারি কর্মীরা। তাঁরা মনে করছিলেন, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এই বেঞ্চে থাকার কারণে মামলার রায় তাঁদের পক্ষেই আসবে। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন একাধিক মামলায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন বিচারপত্তি দত্ত। এবারও এরকম কিছুই হবে, এই আশা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে সরকারি কর্মীদের এহেন ব্যবহারে সুপ্রিম কোর্ট অসন্তুষ্ট হয়েছে বলেই জানা যায়। আর পিছিয়ে যায় ডিএ মামলা। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই হবে শুনানি। আর বেঞ্চে থাকবেন না বিচারপতি দত্ত।