বাড়িতে মাত্র ৫টি বাল্ব, ৩টি ফ্যান, এক মাসের বিল ৩২ লক্ষ টাকা! মাথা খুঁড়ছেন দিনমজুর

Electricity Bill: গ্রীষ্মের মরশুমে এমনিই বিদ্যুতের বিল বেশি আসে। ফ্রিজ, এসি, কুলারের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেই বেশি বিল আসে। কিন্তু শুধু লাইট ও ফ্যান চালিয়েই ৩২ লক্ষ টাকার বিল! বিল দেখে তো মাথায় হাত ওই মজুরের। লাখ টাকাই কখনও চোখে দেখেননি, তাতে আবার ৩২ লাখ!

বাড়িতে মাত্র ৫টি বাল্ব, ৩টি ফ্যান, এক মাসের বিল ৩২ লক্ষ টাকা! মাথা খুঁড়ছেন দিনমজুর
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Jul 26, 2024 | 4:59 PM

পটনা: শাহিদ কাপুর-শ্রদ্ধা কাপুরের ‘বাত্তি গুল, মিটার চালু’ সিনেমাটা দেখেছেন? যেখানে অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিলের চাপে নিজের প্রাণ দিতে বসেছিল এক যুবক। এরপরই আদালতে মামলা লড়ে বিদ্যুৎ কোম্পানির কারচুপি সামনে আসে। সেই সিনেমা থেকেই যেন মিলল অনুপ্রেরণা। তবে গ্রাহক নয়, অনুপ্রেরণা পেয়েছে বিদ্যুৎ কোম্পানি। এক পরিবারে বিদ্যুতের বিল এল ৩২ লক্ষ টাকা। এদিকে, বাড়িতে জ্বলে ৫টি বাল্ব ও ৩টি ফ্যান।

গ্রীষ্মের মরশুমে এমনিই বিদ্যুতের বিল বেশি আসে। ফ্রিজ, এসি, কুলারের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেই বেশি বিল আসে। কিন্তু শুধু লাইট ও ফ্যান চালিয়েই ৩২ লক্ষ টাকার বিল! ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের চম্পারণে। এক দিনমজুরের বাড়িতে বিল এসেছে ৩২ লক্ষ ১১ হাজার ৫৩০ টাকা। দুই মাসের বিল এটা। বিল দেখে তো মাথায় হাত ওই মজুরের। লাখ টাকাই কখনও চোখে দেখেননি, তাতে আবার ৩২ লাখ! কীভাবে এল এত টাকার বিল?

বিহার জুড়েই স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তারপরই এসেছে ৩২ লক্ষ টাকার বিল! সন্দাপ কুমার রাউত নামক ওই শ্রমিক জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে মোট ৫টি বাল্ব ও ৩টি ফ্যান রয়েছে। ২ মাসের বিল পরিশোধ না করায়, বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের অফিসে ঘোরাঘুরি করেও কোনও সুরাহা হয়নি।

সন্দীপ জানান, বিদ্যুতের সংযোগ ছিল তাঁর কাকার নামে। তাঁর মৃত্যুর পর একাধিকবার দফতরে গিয়ে নামে বদলানোর চেষ্টা করলেও, এখন পর্যন্ত মৃত কাকার নামেই বিদ্যুতের বিল আসে। সন্দীপের বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানোর আগে একটি রিডিং মিটার ছিল, যাতে বিল আসত প্রতি মাসে ২১০ টাকা, কিন্তু স্মার্ট মিটার বসানোর পর হঠাৎ করে ৩২ লাখ টাকার বেশি বিল আসাটা কোনও অলৌকিক ঘটনার থেকে কম নয়।

সন্দীপ জানান যে জুলাই মাসে বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তারপরে তিনি ৫০০ টাকা দিয়ে মিটার রিচার্জ করেছিলেন। কিন্তু রিচার্জ করার পরেও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি, এরপরে তিনি বিদ্যুৎ বিভাগে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তারা জানান, সন্দীপের ৩২ লাখ ১১ হাজার ৫৩০ টাকা বকেয়া রয়েছে, এই কারণেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলে বলা হয়েছে, এক মাসে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৯৫ ইউনিট ব্যবহার করেছে, যার  কারণে ৩২ লাখ টাকার বেশি বিল এসেছে। সন্দীপ জানিয়েছেন, তিনি শ্রমিক হিসাবে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করেন, এমন পরিস্থিতিতে তিনি কীভাবে ৩২ লক্ষ টাকার বিল দেবেন?