ভোপাল: বছর চারেক আগে বাড়ি ফেরার পথে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন যুবতী। থানায় গিয়ে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। যদিও সেই মামলার কোনও কিনারা হয়নি। এদিকে অভিযুক্তদের পরিবারের তরফে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। সেই অভিযোগ প্রত্যাহার না করাতেই নির্যাতিতার দাদা ও মাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। ব্যাপক মারধরে ওই যুবকের মৃত্য়ু হয়। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) সাগর জেলায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত নয়জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর জেলার বারোদিয়া নৌনাগির গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত যুবকের দিদি ২০১৯ সালে বিক্রম সিং নামক এক যুবকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন। এরপর থেকেই ওই যুবক ও তাঁর পরিবার চাপ দিচ্ছিল অভিযোগ প্রত্য়াহার করার জন্য।
বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত বিক্রম সিং ওই দলিত যুবতীর বাড়িতে চড়াও হয়। সেই সময়ে যুবতীর মা ও ভাই উপস্থিত ছিল। বচসা চরমে ওঠে। এরপরই অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের সদস্যরা চড়াও হয় এবং যুবতীর ভাই-মাকে মারধর করে। বৃদ্ধার পোশাক ছিঁড়ে বিবস্ত্র করে দেওয়া হয়। পরে নির্যাতিতার দাদা তাঁদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন এবং বুন্দেলখণ্ড মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বৃদ্ধার চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধার একটি হাত ভেঙে গিয়েছে, শরীরের একাধিক জায়গায় চোট রয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
নির্যাতিতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন), ৩৫৩ (যৌন হেনস্থা) ও ৩২৩ (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা) ও জনজাতি-উপজাতি (নৃশংসতা প্রতিরোধ) আইনের একাধিক ধারায় নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।