ভোপাল: মধ্য রাত অবধি বউমা ফোনে কথা বলে যেত। সারা দিনই ফোনের সঙ্গ ছাড়ত না। যখনই শাশুড়ি দেখতেন, বউমা কথা বলছে ফোনে। এ নিয়েই আপত্তি জানিয়েছিলেন বার বার। মোবাইল নিয়ে আপত্তি জানানোয় শাশুড়ির উপর রেগে ছিল বউমা। সুযোগ বুঝে শাশুড়ির মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে সে। তাতেই মৃত্যু হয় শাশুড়ির। যদিও নজর ঘোরাতে শাশুড়ির মৃত্যু নিয়ে অন্য গল্প ফেঁদেছিল স্বামী ও পুলিশের কাছে। কিন্তু তা ধোপে টেঁকেনি। পুলিশের কড়া জিজ্ঞাসাবাদের সামনে সব সত্যি গলগল করে উগরে দেয় অভিযুক্ত বউমা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে আপত্তির কারণেই শাশুড়িকে খুন করছে স্বীকারও করে নিয়েছেন ওই মহিলা। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দামো জেলায়।
মায়ের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মৃতের ছেলে অজয় বর্মণ। পুলিশকে মায়ের রহস্যমৃত্যুর কথা জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ এসে মৃতের শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অজয়কে ফোন করেন তাঁর স্ত্রী। অভিযুক্ত ফোনো অজয়কে জানায়, বাইরে থেকে মা ঘরে এসেছে। মায়ের দেহে গুরুতর আঘাত লেগেছে। স্ত্রীর ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি এসেছিলেন অজয়। কিন্তু এসে দেখেন মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
এর পর ঘটনা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। মৃতের বউমাকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রথমে শাশুড়ির মৃত্যু নিয়ে অনেক রকম গল্প বলেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ চাপ বাড়াতেই সত্যি ঘটনা জানায় সে। বিষয়টি নিয়ে হাট্টা থানার স্টেশন ইন চার্জ এইচ.আর. পাণ্ডে বলেছেন, “অভিযুক্ত জেরার সময় খুনের কথা স্বীকার করেছে। সে বলেছে মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে আপত্তি করতেন শাশুড়ি। ছেলেকেও প্রায়শই জানাতেন সে কথা। দিন কয়েক আগে যখন ফোনে সে কথা বলছিল। তখন তার শাশুড়ি তার স্বামীকে জানায়। তখন স্বামী ফোন কেড়ে নিয়েছিল। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাঁকে খুন করে। নজর ঘোরাতে গল্প ফাঁদে।”