সৌরভ দত্ত: ব্রিটেনে টিকা (COVID Vaccine) দেওয়া শুরু হতেই এ দেশে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন প্রাপ্তির সম্ভাবনা তৈরি হল। ডিসিজিআই ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া) সূত্রের খবর, টিকা পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ না হলেও করোনা-টিকা সরবরাহে জরুরি ভিত্তিতে অনুমতি (এমার্জেন্সি অথরাইজেশন) প্রাপ্তির জন্য ডিসিজিআইয়ের (DCGI) কাছে এ পর্যন্ত তিনটি সংস্থা আবেদন করেছে। সেই তিন সংস্থার মধ্যে কোভিশিল্ড (Covishield), কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) পাশাপাশি ফাইজা়রও (Pfizer) রয়েছে।
আজ, বুধবার সেই আবেদনে সম্মতির সিলমোহর দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে ডিসিজিআইয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক করার কথা। এ বিষয়ে ডিসিজিআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, “ওষুধের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদনের নজির রয়েছে। কিন্তু করোনা টিকার সঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। একজনকে অনুমতি দিলে সকলকে দিতে হবে। তাই সবদিক বিচার করে সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন।”
ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক জানান, এ ধরনের পরিস্থিতিতে টিকা গ্রহণকারীর সম্মতি নিয়েই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে টিকার কার্যকারিতা কতখানি তা জানিয়ে টিকা দেওয়া রীতি। তাঁর কথায়, “ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে এ দেশেও এমার্জেন্সি অথরাইজেশন দেওয়া হলে অবাক হব না! কারণ, রেমডিসিভিরের ক্ষেত্রে তাই হয়েছিল।”
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! দেশে শীঘ্রই আসছে করোনা প্রতিষেধক: মোদী
স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ফার্মাকোলজির প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান শান্তনু ত্রিপাঠী বলেছেন, “অতি মহামারীকে জরুরি পরিস্থিতি ধরলে গবেষণা প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই টিকা সরবরাহে অনুমতি প্রদানের সুযোগ রয়েছে। তবে পরীক্ষার কাজ যেহেতু শেষ হয়নি তাই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না তার উপরে নজরদারি প্রয়োজন। কোনও এক সময়ে যদি দেখা যায় টিকা যথেষ্ট কার্যকরী বা নিরাপদ নয়, তবে তা প্রত্যাহারও করা হতে পারে।”
আরও পড়ুন: কমছে দৈনিক সংক্রমণ, বাড়ছে স্বস্তি, প্রতিষেধক পাওয়ার অপেক্ষায় দেশ