নয়া দিল্লি: দিল্লি পৌরসভা পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির পারফরম্যান্স অত্যন্ত খারাপ। শনিবারই, এই নিয়ে দিল্লি পৌরসভার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন আপ নেতারা। এর একদিন পরই, সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর), বিজেপি-পরিচালিত পুর কর্পোরেশনকে নোটিশ পাঠাল দিল্লি কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস বা ডিসিপিসিআর। এমসিডিকে পাঠানো নোটিশে ডিসিপিসিআর বলেছে, “এনএএস ক্লাস-৩ ফলাফলগুলি মিউনিসিপ্যাল স্কুলগুলিতে শিক্ষাদান এবং শিক্ষার একটি হতাশাজনক ছবি তুলে ধরেছে। এই বিষয়ে ভারতের সবথেকে খারাপ পারফর্ম করা ৫ রাজ্যের মধ্যে স্থান পেয়েছে দিল্লি।” দুই সপ্তাহের মধ্যে এই অবস্থার ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। কমিশন আরও বলেছে, এমসিডি পরিচালিত স্কুলগুলিতে “নিম্নমানের শিক্ষার” তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার, আপ নেতারা দিল্লিতে দিল্লি পৌরসভা পরিচালিত স্কুলগুলির ‘খারাপ অবস্থা’ নিয়ে লাইভ-স্ট্রিম করেছিলেন। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আপ দলের প্রধান মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ-সহ বেশ কয়েকজন আপ বিধায়ক এমসিডি স্কুলগুলিতে তাদের সফর লাইভ-স্ট্রিম করেছিলেন। স্কুল ভবন, শ্রেণীকক্ষ, টয়লেট এবং ক্যাম্পাসগুলির অত্যন্ত খারাপ অবস্থার ছবি তুলে ধরেছিলেন তাঁরা। স্কুল নির্মাণে দিল্লি সরকারের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য বিজেপির চরম সমালোচনা করেছিলেন তাঁরা।
देखिये BJP आपके बच्चों के भविष्य के साथ क्या कर रही है।
MCD School, Burari ?
BJP के 15 साल के कुशासन की मुँह बोलती तस्वीर-बच्चों के बैठने के Desk नहीं, Unhygienic Toilet, पीने का पानी नहीं( स्कूल में प्यासा मरता बचपन), हर जगह केवल गंदगी।#BJPKeSchoolExposed pic.twitter.com/dL4lFYKxpc
— Sanjay Singh AAP (@SanjayAzadSln) September 3, 2022
বিজেপি শাসিত পৌর সংস্থা আপকে পাল্টা আক্রমণ করে দাবি করেছে, আপ নেতারার শিক্ষার্থীদের রুটিনকে লঙ্ঘন করেছে। এমসিডি বলেছিল, দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে আপ সরকার যে তহবিল সরবরাহ করেছে তা এমসিডি স্কুলগুলির তহবিলের থেকে অনেক বেশি ছিল। এমসিডির পক্ষ থেকে আপ নেতাদের স্কুলে গিয়ে লাইভ স্ট্রিম করার পদক্ষেপের নিন্দা করে। তারা বলেছে, “স্কুলগুলিতে ৩০-৪০ জনের একটি গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল এবং বাচ্চাদের শিক্ষা প্রক্রিয়া ব্যহত হয়েছিল।”
কিন্তু, ডিসিপিসিআর-এর এই নোটিশে আরও অস্বতিতে পড়ল এমসিডি। নোটিশে ডিসিপিসিআর জানিয়েছে, দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের স্কুলগুলির ক্লাস-৩’এর ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ভাষা, গণিত এবং পরিবেশগত অধ্যয়ন – এই তিন বিষয়ে জাতীয় গড় নম্বরের থেকে এমসিডি পরিচালিত স্কুলগুলির গড় নম্বর নীচে রয়েছে। ভাষা বিষয়ে দিল্লির গড় নম্বর মাত্র ৫২ শতাংশ, যেখানে এই বিষয়ে জাতীয় গড় নম্বর হল ৬২ শতাংশ।