নয়া দিল্লি : অতি বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা উত্তরের রাজ্যগুলিতে। অতিবৃষ্টির কারণে ধস নেমেছে বিভিন্ন এলাকা। বাড়ি ধসে মৃত্যু হয়েছে একাধিক মানুষের। ভেঙে পড়েছে রেল ব্রিজও। বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়েছে। গত তিনদিন ধরে উত্তর ও পূর্বের রাজ্য়গুলিতে এরকমই বিক্ষিপ্ত ছবি দেখা গিয়েছে। এবার এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশে মৃতের সংখ্যা হাফ সেঞ্চুরি করল। গত তিনদিনে হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও ওড়িশায় মারা গিয়েছেন মোট ৫০ জন।
হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির দাপটে শয়ে শয়ে গ্রাম ভেসে গিয়েছে। মাটির বাড়ি ধুয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে ব্রিজ। ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এই অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে আগামী দু’দিন। এই পরিস্থিতিতে হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হওয়া হড়পা বান ও ভূমি ধসের কারণে সেখানে নিখোঁজ হয়েছেন পাঁচজন। এক বর্ষীয়ান অধিকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, রবিবারও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। এদিকে গতকালে এ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছিল ২২ জনের। আহত হয়েছিলেন ১২ জন। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি, কাংড়া ও চাম্বা জেলা থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে গত তিনদিনে তিনটি রাজ্য মিলিয়ে মোট ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ জনই হিমাচল প্রদেশের বলে জানা গিয়েছে। সেখানে ঘর-বাড়ি ভেসে গিয়েছে বহু মানুষের। রিলিফ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন একাধিক মানুষ। উত্তরাখণ্ডে গতকাল মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে মারা গিয়েছেন চারজন। নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছে। বাড়ি-ঘর ভেসে যাওয়ায় নিখোঁজ হয়েছেন ১৩ জন। এদিকে ওড়িশাতে মুষলধারে বৃষ্টিতে কমপক্ষে ৬ জন মারা গিয়েছেন। সেখানে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ বন্য়ার কবলে। হাজার হাজার মানুষ সেখানে ঘরছাড়া। বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ ব্য়াহত হয়েছে। রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।