নয়া দিল্লি: বিতর্কের কেন্দ্রে ব্যাডমিন্টন লেজেন্ড তথা অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের (Deepika Padukone) বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন (Prakash Padukone)। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও ছবিতে কোনও বিতর্ক নেই, যত বিতর্ক ছবির ক্যাপশনে। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনরা।
কী রয়েছে ছবি ও ছবির ক্যাপশনে?
রবিবার মেয়ে দীপিকা ও জামাই রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন। স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় মেয়ের সঙ্গে তোলা ‘পদ্মশ্রী’ প্রকাশ পাড়ুকোনের একটি ছবি X হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়। যেটির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, “দীপিকা পাড়ুকোন ও তাঁর বাবা বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে যাচ্ছেন।”
প্রকাশ পাড়ুকোন নিজে ব্যাডমিন্টন লেজেন্ড। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। তারপরও মেয়ের পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার কী প্রয়োজন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। বলা ভাল, ব্যাডমিন্টন লেজেন্ডের পরিচয় ‘প্রকাশ পাড়ুকোন’ নাকি ‘দীপিকা পাড়ুকোনের বাবা’- এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়। অর্ণব রায় নামক এক X হ্যান্ডেলকারী তো ছবিটি তুলে ধরে লিখেছেন, “এটা একটা দুঃখের দিন, যখন প্রকাশ পাড়ুকোন নিজেকে দীপিকা পাড়ুকোনের বাবা হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন।”
It’s a sad day when Prakash Padukone has to be introduced as merely “Deepika Padukone’s father”. https://t.co/eX5oAuDkEY
— Arnab Ray (@greatbong) November 19, 2023
যদিও নেটিজেনদের অনেক অবশ্য অর্ণব রায়কে কটাক্ষ করেছেন। সামান্য এটা নিয়ে কেন জল্পনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। প্রিয়াঙ্কা পানি নামক এক X হ্যান্ডেলকারী অর্ণব রায়ের পোস্টটি তুলে ধরে পাল্টা লিখেছেন, “আমি নিশ্চিত যে, প্রকাশ পাড়ুকোন তাঁর মেয়ের জন্য অত্যন্ত গর্বিত এবং এই পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করছেন।” প্রকাশ পাড়ুকোন বা দীপিকা পাড়ুকোনের তরফে অবশ্য নেটিজেনদের এই সমস্ত নানান কটাক্ষের পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, ৮০-র দশকে বিশ্বের ১ নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন। সেই বছর প্রথম ভারতীয় হিসাবে তিনি অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানও পেয়েছেন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের বিশ্বস্তরে প্রতিযোগিতায় নামার জন্য আরও ভাল সুযোগের ব্যবস্থা দিতে কিংবদন্তি গীত শেঠির সঙ্গে একটি অলাভজনক সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেন।