নয়া দিল্লি: ফের তুঙ্গে কেন্দ্র বনাম দিল্লি সরকারের লড়াই। এবার কেন্দ্রের অধ্যাদেশ(Ordinance)-কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) সরকার। রাজ্য়ে শাসনের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই দিল্লি ও কেন্দ্রীয় সরকারের। সম্প্রতিই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দিল্লির সরকারের হাতেই প্রশাসনিক ক্ষমতা রাখা হয়। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নতুন একটি অধ্যাদেশ আনা হয়, যেখানে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতেই আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা রাখা হয়। দিল্লির কেজরীবাল সরকার প্রথমদিন থেকেই এই অধ্য়াদেশের বিরোধিতা করেছিল। একাধিক বিরোধী দলও তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেজরীবাল সরকার।
জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা দিল্লি অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে। আপের তরফে দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক ক্ষমতা থেকে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এই অর্ডিন্যান্সের মাধ্য়মে।
আম আদমি পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি তারা আগামী ৩ জুলাই থেকে কেন্দ্রের আনা অধ্যাদেশের কপি পুড়িয়ে ধাপে ধাপে প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল অধ্য়াদেশ পুড়িয়ে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন।
দিল্লি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হওয়ায়, কার হাতে কী ক্ষমতা থাকবে, তা নিয়ে বিরোধ ছিল। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। শীর্ষ আদালতের তরফে রায়ে জানানো হয়, পুলিশ, জমি ও আইন-শৃঙ্খলার ক্ষমতা ছাড়া বাকি সমস্ত প্রশাসনিক অধিকার দিল্লি সরকারের হাতেই থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরদিনই কেজরীবাল সরকার এক আমলাকে বদলি করেন।
এরপর, গত ১৯ মে কেন্দ্রের তরফে একটি অধ্য়াদেশ আনা হয়। ওই অধ্যাদেশে বলা হয়, দিল্লির সমস্ত আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে থাকবে।