নয়াদিল্লি: স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল। রাগে স্ত্রী চলে গিয়েছিলেন বাপের বাড়ি। সেখানেই থাকতে শুরু করেছিলেন। কিছুতেই স্বামীর কাছে ফিরে আসছিলেন না। তা দেখে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলেন স্বামী। সেখানে গিয়ে ভয়ানক কাণ্ড ঘটালেন তিনি। স্ত্রীকে আনতে গিয়ে বন্দুক উঁচিয়ে ধরেছিলেন। শাশুড়ি বাধা দেওয়ায় শাশুড়িকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লিতে। খবর পেয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গুলি চালনার ঘটনা ঘটলেও কেউ গুলিবিদ্ধ হননি বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম গৌবর। ৩২ বছরের ওই যুবকের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। তাঁর স্ত্রীর নাম রুচিকা। রুচিকার সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই দাম্পত্য কলহ চলছিল গৌরবের। সম্প্রতি বাপের বাড়ি এসে থাকতে শুরু করেন রুচিকা। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ফিরে যাননি তিনি। এর পরই গৌরব রুচিকাকে নিতে আসেন। রীতিমতো বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে রুচিকাকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান তিনি। শাশুড়ি বাধা দেওয়ায় শাশুড়িকে লক্ষ্য করে গুলিও চালিয়েছিলেন। যদিও সেই গুলিতে কেউ আহত হননি। দেওয়ালে লাগে সেই গুলি। এর পরই সাগরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
ঘটনা নিয়ে সাগরপুর থানার এক অফিসার জানিয়েছেন, শাশুড়িকে লক্ষ্য করে অভিযুক্তের ছোড়া গুলি দেওয়ালে লেগেছে। শাশুড়িকে রীতিমতো শাসিয়েছেন তিনি। দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ বলেছেন, “অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা এবং অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”