নয়া দিল্লি: প্রাণনাশের হুমকি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। মাঝরাতে ফোন করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। যদিও একাজ করে রেহাই পায়নি ওই ব্যক্তি। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার খবর পেতেই তৎপর হয়ে ওঠে দিল্লি পুলিশ। তারপর ফোন নম্বর ট্র্যাক করে ওই ব্যক্তির হদিশ পায় পুলিশ। বর্তমানে দিল্লির এক হাসপতালে ভর্তি ওই ব্যক্তি।
পুলিশ জানায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৩৮ বছর। ইতিমধ্যে তাঁকে পাকড়াও করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁকে দিল্লির গুলাবি বাগে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ দিল্লি পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। সেই ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপর হয় দিল্লি পুলিশ। তারপর ফোন নম্বর ট্র্যাক করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই ব্যক্তির হদিশ পায় পুলিশ। তাকে পাকড়াও করে। তারপরই পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে সুস্থ নন। এরপর পুলিশের তরফেই তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। বর্তমানে দিল্লির গুলাবি বাগে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া ওই ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মাস দুয়েক আগে অভিযোগ তুলেছিলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তরজা শুরু হয়। আম আদমি পার্টি (AAP) হতাশাগ্রস্ত হয়ে এবং জনগণের সহানুভূতি আদায়ের জন্যই এই ধরনের কথা বলছে বলে পাল্টা তোপ দাগে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি ফোন এসেছিল। একেবারে কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রীর অফিসের নম্বরে ফোন করে ডন দাউদ ইব্রাহিমের নাম করে নিতিন গড়করীকে অপহরণ করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সেই ঘটনার পর নিতিন গড়করীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।