নয়া দিল্লি: লক্ষ্য ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানো। সেই লক্ষ্যেই একজোট হয়েছিল ২৬টি বিরোধী দল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন অবধি জোট টিকবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। ফের একবার প্রকাশ্যে এল আপ-কংগ্রেসের কোন্দল। দিল্লির পর এবার ছত্তীসগঢ়ে কোন্দল বাধল আপ-কংগ্রেসের। শনিবার ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। সেখানেই তিনি জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে তোপ দাগেন। আর তাতেই বেজায় চটে কংগ্রেস। দুই বিরোধী দলের মধ্যে বারংবার কাজিয়া নিয়েই এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইন্ডিয়া জোট।
চলতি বছরের শেষভাগেই ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচন। শনিবার ভোট প্রচারে গিয়ে আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল ছত্তীসগঢ়ের সরকারি স্কুলগুলির বেহাল অবস্থা নিয়ে নিন্দায় সরব হন। ক্ষমতায় আসার পর দিল্লির সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামোয় যে ব্য়াপক উন্নতি করা হয়েছে এবং বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার উদাহরণ টেনে কেজরীবাল বলেন, “আমি একটা রিপোর্ট পড়ছিলাম যেখানে ছত্তীসগঢ়ের সরকারি স্কুলগুলির বেহাল দশার উল্লেখ করা হয়েছে। সরকার একাধিক স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনও অনেক স্কুল রয়েছে, যেখানে ১০টি ক্লাস রয়েছে কিন্তু শিক্ষক একজনই। অনেক শিক্ষকরাই বেতন পান না।”
তিনি আরও বলেন, “দিল্লির সরকারি স্কুলগুলি দেখুন বা দিল্লিতে থাকা আত্মীয়দের জিজ্ঞাসা করুন। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এমন সরকার এসেছে যে শিক্ষা ক্ষেত্রে এত কিছু করেছে। আমরা রাজনীতিবিদ নই, আমরা আপনাদের মতোই সাধারণ মানুষ।”
কেজরীবালের এই মন্তব্যের পরই পাল্টা জবাব দেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তিনি বলেন, “দিল্লির সরকারের সঙ্গে ছত্তীসগঢ় সরকারের তুলনা টানার কী দরকার? যদি তুলনা করতেই হয়, তবে পূর্ববর্তী রমন সিং সরকারের সঙ্গে তুলনা করুন। আপনি নিজের পছন্দ মতো কোনও একটি ক্ষেত্র বেছে নিন। তারপর দিল্লিতে কংগ্রেস সরকার আর আপনার সরকারের কাজের মধ্যে তুলনা করা হোক। বিতর্ক করতে আপনি প্রস্তুত?”
আপ-কংগ্রেসের এই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের কারণেই প্রশ্ন উঠেছে যে আদৌ ইন্ডিয়া জোট টিকবে তো? উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হওয়ার পরও বিতর্ক শুরু হয়েছিল কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা বলেছিলেন যে শীর্ষ নেতৃত্ব দিল্লির সাতটি আসনেই লড়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এরপরই আপের তরফে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, “তাহলে ইন্ডিয়া জোটের অর্থটাই বা কী?”