নয়া দিল্লি: আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারিতে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে দেওয়া জামিন বাতিল করতে আদালত এর কাছে আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর), দিল্লির এক জেলা দায়রা আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিল। তবে, সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তেজস্বী যাদবকে তিরস্কার করেছে আদালত। সিবিআই অভিযোগ করেছিল, তেজস্বী যাদব তাঁদের আধিকারিকদের হুমকি দিয়েছেন। আদালত এদিন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছে, “প্রকাশ্যে কথা বলার সময় সঠিক শব্দ চয়ন করুন।”
সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সিবিআই অফিসারদের কি মা, বোন সন্তান নেই? তাঁরা কি সারা জীবন সিবিআই অফিসারের পদে থাকবেন? তাঁরা কি অবসর নেবেন না? আপনাদের বিশ্বস্ততার সঙ্গে সাংবিধানিক সংস্থার কর্তব্য পালন করা উচিত।” এরপরই আদালতে সিবিআই অভিযোগ করেছিল, তেজস্বী যাদব সাংবাদিক সম্মেলনে সিবিআই আধিকারিক এবং মামলার অন্যান্য সাক্ষীদের হুমকি দিয়েছেন। তাই, এই মামলায় তেজস্বীর জামিন বাতিল করার আবেদন করেছিল সিবিআই।
এদিন, আদালতে সিবিআই আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে তাঁদের এক আধিকারিকের উপর হামলাও হয়েছে। তেজস্বীর বক্তব্যের সঙ্গে সেই ঘটনার যোগ থাকার কোনও প্রমাণ না থাকলেও, সিবিআই-এর দাবি, জেতস্বূীর বক্তব্যের পর তাঁদের আধিকারিকদের মধ্যে একটা ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
তেজস্বী যাদবের আইনজীবী অবশ্য দাবি করেছেন, সিবিআইয়ের এই সকল যুক্তি আসলে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে বিজেপির তৈরি ‘আখ্যান’। তেজস্বী জানিয়েছেন, তিনি সিবিআই আধিকারিকদের হুমকি দেননি, সমালোচনা করেছিলেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অংশ নন বলেই, তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মাসকয়েক আগেই বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে নতুন সরকার গড়েছিলেন নীতিশ কুমার। তেজস্বী যাদব নয়া সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে রয়েছেন।
চলতি মামলাটি ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন বা আইআরসিটিসি-র দুটি হোটেল বিষয়ে। লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকার সময়, চুক্তি ভিত্তিতে আইআরসিটিসি ওই হোটেলদুটি পরিচালনার বরাত দেওয়া হয়েছিল এক বেসরকারি সংস্থাকে। অভিযোগ, ওই হোটেলদুটি পরিচালনার বরাত পাওয়ার বদলে ঘুষ হিসেবে হরিয়ানার গুরুগ্রামে এক হোটেলের মালিকানা দেওয়া হয়েছিল তেজস্বী যাদবকে। তবে,সেই হোটেলের সঙ্গে তাঁর কোনও সংযোগের কথা অস্বীকার করেছেন তেজস্বী।