নয়া দিল্লি ও কলকাতা : গরু পাচারকাণ্ডে এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিট গ্রহণ করল দিল্লির বিশেষ পিএমএলএ আদালত। চার্জশিটে নাম রয়েছে পলাতক তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্র, তার ভাই বিকাশ মিশ্র ও এনামূল হকের। আর্থিক দূর্নীতি দমন আইনের ৪৪ ও ৪৫ নং ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছিল। আদালত ওই চার্জশিট গ্রহণ করে ১ জুন বিনয় ও বিকাশকে আদালতে পেশ করার জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। বিচারক সঞ্জয় গর্গ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে ১৯ এপ্রিল বিচারক বলেছিলেন, “আমি অভিযোগ এবং তার সঙ্গে জমা পড়া নথিপত্র খতিয়ে দেখেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। যে অভিযোগগুলি রয়েছে, সেগুলি আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ধারাগুলির আওতায় অপরাধ বলে গণ্য হয়”
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নীতেশ রানা আদালতে ওই চার্জশিট দাখিল করেছিলেন। তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত এনামূল হক আন্তর্দেশীয় এই কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট অপরাধের আয় থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছে এবং বেশ কয়েকটি আইনও লঙ্ঘন করেছেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দেওয়া তথ্যা অনুযায়ী, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) তৎকালীন কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের বিরুদ্ধে কলকাতায় সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এফআইআর করার পরে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছিল, ওই এনামূল হকের সঙ্গে সতীশ কুমার এবং অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরাও গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল। এনামূল হকের নির্দেশেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করা হয়েছিল এবং ব্যবসার সুবিধার্থে তিনি নিরাপত্তা রক্ষীদের ঘুষ দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় এবার আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডির অফিসাররা। গরু পাচার সংক্রান্ত তদন্তে শনিবার ফের গ্রেফতার করা হয়েছে বিএসএফের তৎকালীন কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে। এর আগে সিবিআই অফিসাররা তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন। কিন্তু সেই সময় অবশ্য জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপরই শনিবার ফের ইডির হাতে গ্রেফতার হন সতীশ কুমার।
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: অশোক দিন্দার পর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শুভেন্দুও! বিরোধী দলনেতা বললেন…