নয়া দিল্লি: তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে দিল্লির অগ্নিকাণ্ডে (Delhi Fire)। শুক্রবার মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে যে বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে, তার ফায়ার এক্সিটের (Fire Exit) দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। রবিবার সকালেই দিল্লি পুলিশ অগ্নিদ্বগ্ধ ওই বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম মনীশ লাকরা। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের যথাযথ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা সহ একাধিক গাফিলতিও ধরা পড়েছে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে। মৃতদের দেহ শনাক্তকরণের জন্য ফরেন্সিক দলকেও আনা হয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকেই পলাতক ওই বাড়ি মালিকের খোঁজ চালানো হচ্ছিল। যে সংস্থা থেকে আগুন ছড়িয়েছিল, তার মালিকদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন সকালে দিল্লির আউটার ডিস্ট্রিক পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত বাড়ি মালিককে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে, দিল্লি দমকল বিভাগের প্রধান আধিকারিক জানিয়েছেন, বাড়িটিতে আগুন লাগার পিছনে একাধিক গাফিলতি উঠে আসছে। একদিকে বিল্ডিংটি তৈরির জন্য প্ল্যানিং যেমন অনুমতি নেওয়া হয়নি, তেমনই নন-অবজেকশন সার্টিফিকেটও ছিল না।
সোমবার প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, বিল্ডিংটির একতলায় যে সিসিটিভি ও ওয়াইফাই রাউটার তৈরির সংস্থা ছিল, সেখানেই রাখা কোনও বৈদ্যুতিন বস্তুতে বিস্ফোরণের জেরে আগুন লাগে। একতলা ও দোতলায় প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিক মজুত থাকায় সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চারতলা ওই বাড়িটিতে মাত্র একটি ফায়ার এক্সিট ছিল। অগ্নিনির্বাপণের জন্য কোনও ব্যবস্থাও ছিল না।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিল্ডিংয়ের একটি ঘরে প্রায় ৫০-৬০ জন উপস্থিত ছিলেন, এদিকে ঘরের দরজাটি বাইরে থেকে বন্ধ করা ছিল। কে বা কেন ওই ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে রেখেছিল, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। পুলিশের অপর এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার দিন ওই বিল্ডিংয়ে একজন মোটিভেশনাল স্পিকারের অনুষ্ঠান ছিল। অনেকেই দোতলায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু নামার যে প্রধান দরজা ছিল, সেটাই বাইরে থেকে আটকানো ছিল। ফলে তারা আগুন লাগার পরও দীর্ঘক্ষণ দোতলায় আটকে থাকেন। প্রাণ বাঁচাতে অনেকে বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন।