Delhi Fire: মেঝেতে সেঁটে রয়েছে পোড়া চামড়ার অংশ, মুন্ডকার ‘অভিশপ্ত’ বাড়ি ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

May 15, 2022 | 11:22 AM

Delhi Fire: শুক্রবার বিকেলে চারতলা ওই বাড়িতে যে আগুন লাগে, তা নেভাতে প্রায় সারা রাত কেটে যায়। শনিবার সকালে বিল্ডিংয়ের ভিতরে উদ্ধারকারী দল প্রবেশ করলে, আরও দু-তিনটি পোড়া দেহাবশেষ উদ্ধার হয়।

Delhi Fire: মেঝেতে সেঁটে রয়েছে পোড়া চামড়ার অংশ, মুন্ডকার অভিশপ্ত বাড়ি ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
রাতেও চলে উদ্ধারকাজ। ছবি:PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: দুশোরও বেশি কর্মী, অথচ বেরনোর পথ একটাই। ছিল না অগ্নিনির্বাপণের ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও। দিল্লির অগ্নিকাণ্ডের পুলিশি এফআইআরে উঠে এল এমনই কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি বহুতলে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১। এখনও খোঁজ মিলছে না কমপক্ষে ১৯ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের নির্দেশে তদন্তে নামল দিল্লি পুলিশ। মুন্ডকা অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সাহায্য করবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের দল। দেহগুলি আগুনে এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। মৃতদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে গতকালই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

শুক্রবার বিকেলে চারতলা ওই বাড়িতে যে আগুন লাগে, তা নেভাতে প্রায় সারা রাত কেটে যায়। শনিবার সকালে বিল্ডিংয়ের ভিতরে উদ্ধারকারী দল প্রবেশ করলে, আরও দু-তিনটি পোড়া দেহাবশেষ উদ্ধার হয়। দুর্ঘটনার পরই এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বাড়িটির একতলায় যে সিসিটিভি ও ওয়াইফাই রাউটার তৈরির সংস্থা ছিল, সেখানে কোনও যন্ত্রাংশে বিস্ফোরণের জেরে আগুন লাগে। বিল্ডিংয়ে প্রচুর পরিমাণ প্ল্যাস্টিক মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিল্ডিংয়ে। ইতিমধ্যেই সংস্থার দুই মালিক হরিশ গোয়েল ও বরুণ গোয়েলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক বাড়ির মালিক।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ যে এফআইআর দায়ের করেছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিল্ডিংটিতে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। একটিই মাত্র প্রবেশ ও বেরনোর পথ ছিল। এদিকে, ওই সময়ে অফিসে কাজ করছিলেন কমপক্ষে ১০০ কর্মী। দুই ভাই হরিশ ও বরুণ গোয়েল বিল্ডিংটির তিনটি তল ভাড়া নিয়ে অফিস চালাতেন। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই তাঁদের সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, বিল্ডিংয়ের মালিকের পরিচয়ও জানা গিয়েছে। মণীশ লাকরা নামক ওই ব্যক্তি বর্তমানে পলাতক। বিল্ডিংটির এনওসি বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও ছিল না। ভিতরে রাখা ছিল না একটিও অগ্ন নির্বাপণ যন্ত্রও।

দিল্লি পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে দুটি ফরেন্সিক দলও উপস্থিত হয়েছে। মৃতদেহগুলি চিহ্নিতকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

Next Article