নয়া দিল্লি: করোনাভাইরাসের বর্ষপূর্তির মাসখানেক পরও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না আশার আলো। এই এক বছরে তড়িৎ গতিতে ভ্যাকসিন এসেছে। কিন্তু সংক্রমণ বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে রাশ টানা যাচ্ছে না। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ভারতের বিভিন্ন শহরের জন্য। ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখে এ বার রাজধানীতে পুনরায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার।
ঠিক আনলক পর্বের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে জমায়েত এবং উপস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ টেনে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকতে চলা এই নতুন নির্দেশিকায় দিল্লি সরকার জানিয়েছে, প্রত্যেক রাত ১০ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে। সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, বিনোদনমূলক-সহ যে কোনও জমায়েতের ক্ষেত্রেই জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি এবং শেষকৃত্যে ২০ জনের বেশি হাজির থাকা যাবে না। রেস্তরাঁ এবং পানশালাগুলিতে ৫০ সর্বাধিক শতাংশ মানুষের উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক নেতাদের কোচবিহার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের, রবিবারই যাওয়ার কথা ছিল মমতার
পরিবহণের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর করতে বলা হয়েছে। বাস এবং মেট্রোয় আসন সংখ্যার তুলনায় অর্ধেক যাত্রী উঠতে পারবেন। ক্রীড়াবিদদের অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা হয় এমন বাদে সমস্ত সুইমিং পুল বন্ধ রাখতে হবে। মাঠে খেলাধুলোয় ছাড় থাকলেও দর্শকাসন শূন্য রাখতে হবে। এমনকি যেসব যাত্রীরা বিমানে করে মহারাষ্ট্র থেকে ফিরবেন, তাঁদের সঙ্গে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট আনতে হবে যা অবশ্যই ৭২ ঘণ্টার বেশি পুরানো হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: ‘প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্যেই পরিষ্কার ক্ষমতায় আসছে কারা’, আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে বিজেপির