নয়া দিল্লি: ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর ভারত। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। দিল্লি, পঞ্জাব, চণ্ডীগঢ়, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rainfall) ভাসছে। হরিয়ানা থেকে জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দিল্লিতেও। তড়িঘড়ি যমুনা নদীর পার থেকে শতাধিক মানুষকে সরিয়ে এনেছে প্রশাসন। আপাতত তাদের ঠিকানা পূর্ব দিল্লির ময়ূর বিহারে ফ্লাইওভারের নীচে।মাথার উপরে ছাউনি জুটলেও একমুঠো খাবার নেই তাঁদের কাছে। নেই কোনও শৌচালয়ও। জলযন্ত্রণা থেকে বাঁচতে তাদের উদ্ধার করে আনা হয়েছে বটে, তবে পিপাসা মেটানোর জন্য এক বিন্দু জলের ব্যবস্থাও করা হয়নি। এমনটাই অভিযোগ যমুনার পাড়ের বাসিন্দাদের।
যমুনা নদীর জল বিপদসীমা পার করতেই, দুই পাড়ে বসবাসকারীদের উদ্ধার করে সরিয়ে আনা হয় দিল্লি সরকারের তরফে। কিন্তু গোটা একটা দিন কেটে গেলেও, তাদের খাবার তো দূরের কথা, এক বিন্দু জলের ব্য়বস্থাও করে দেওয়া হয়নি। ফ্লাইওভারের নীচে আশ্রয় নেওয়া এক মহিলা বলেন, “কেবলমাত্র সকালে একবার জল এসেছিল। আমাদের বাচ্চাদের ক্ষিদে পেয়েছে। কিন্তু কোনও জল বা খাবার নেই… আমরা এখানে বসে রয়েছি শুধু…গতকাল রাতে শেষবার খেয়েছিলাম, তাও আমাদের কাছে যা ছিল, তা দিয়েই খাবার বানিয়েছিলাম।”
সরকার থেকে রাতারাতি স্থানান্তরিত করার ঘোষণা করায়, তারা হাতের সামনে যা কিছু পেয়েছে, তাই শেষ সম্বল হিসাবে আঁকড়ে ধরে বেরিয়ে এসেছে। এখন তাদের কাছে বাড়ি ফেরারও পথ নেই। কারণ নদীর জল প্লাবিত হয়ে কুড়েঘরে ঢুকে পড়েছে।
ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তর ভারতের প্রায় সমস্ত নদীরই জলস্তর বেড়েছে। হরিয়ানা থেকে জল ছাড়ার কারণে যমুনা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে যমুনার জলস্তর ২০৬.৬৯ মিটার, যা বিপদসীমার উপরে। দিল্লিবাসীকে আপাতত নদীর পাড় থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।