নয়া দিল্লি: সিবিআই-এর পর ইডির মামলাতেও জামিন পেলেন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন এমডি তথা সিইও চিত্রা রামাকৃষ্ণা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি হাইকোর্ট অবৈধভাবে ফোন ট্যাপ করার মাধ্যমে তহবিল তছরুপের মামলায় তাঁকে জামিন দিল। ২০২২ সালের ১৪ জুলাই এই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই একই ঘটনায় সিবিআই-এর করা মামলাতেও জামিন পেয়েছিলেন তিনি। এই মামলায় তাঁকে জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল ইডি। তারা বলেছিল, এই ষড়যন্ত্রের মূল চক্রী হলেন চিত্রা। অন্যদিকে জামিন চেয়ে, চিত্রা রামকৃষ্ণা যুক্তি দেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগ করা হয়নি এবং যে অভিযোগগুলি আছে, সেগুলি তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতার মধ্যে পড়ে না। দুই পক্ষে যুক্তি শোনার পর বিচারপতি জসমিত সিং, চিত্রা রামকৃষ্ণার জামিনের আবেদন মেনে নেন।
এই মামলার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মীদের ফোনে অবৈধভাবে আড়ি পাতার অভিযোগ রয়েছে। এই ভাবে এনএসই-কে-র সঙ্গে জালিয়াতি করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ইডির মতে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই কাজ চলছিল। স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সিইও রবি নারাইন, চিত্রা রামকৃষ্ণা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি বারানসী-সহ আরও কয়েকজন এই ষড়যন্ত্রে জড়িত। সাইবার দুর্বলতা পরীক্ষার নামে এই আড়ি পাতা চলত। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালেই এনএসই-র জয়েন্ট এমডি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন চিত্রা রামকৃষ্ণা। ২০১৩ সালে সেই পদ থেকে তিনি স্টক এক্সচেঞ্জের এমডি তথা সিইও-র পদে উন্নীত হয়েছিলেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি।
সিবিআই এবং ইডির অভিযোগে বলা হয়েছে, এই ভাবে কর্মীদের ফোনে আড়ি পাতা টেলিগ্রাফ আইনের লঙ্ঘনকারী। অথচ, এই কাজ করার জন্য ৪.৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল আইসেক সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক সংস্থাকে। এর পাশাপাশি আনন্দ সুব্রহ্মণ্য নামে সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মীর বেতন ঘন ঘন বৃদ্ধি সংক্রান্ত আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। চিত্রা দাবি করেছিলেন এক “সিদ্ধ পুরুষ”-এর কথায় তিনি এই কাজ করেছেন। কিন্তু, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির দাবি, এই “সিদ্ধ পুরুষ” আসলে খোদ সুব্রহ্মণ্য। এছাড়াও, হিমালয়ের এক যোগীকে ই-মেইল মারফত এনএসই-র গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সিবিআই-এর দাবি সেই যোগীও আদতে সুব্রহ্ম্যমণ্য।