নয়া দিল্লি : কয়লা দুর্নীতি (Coal Scam) মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) করা আবেদনে রায় সংরক্ষিত রাখল কোর্ট। সাম্প্রতিক অতীতে কয়লা দুর্নীতি মামলায় ইডি (Enforcement Directorate) দিল্লিতে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক ও রুজিরাকে ডেকে পাঠিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট এই তলব থেকে স্বস্তি পেতে আবেদন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা। ইডির তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবালের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের বিচারপতি রজনীশ ভাটনগর জানান, “আমরা আজ এই মামলাটি শেষ করব। এই রায়, আমি সংরক্ষণ করছি।” ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এবং তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা তাঁদের নামে জারি করা ১০ সেপ্টেম্বরের সমনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সাংসদ এবং তাঁর স্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। সেক্ষেত্রে তাঁদের দিল্লিতে উপস্তিতির জন্য তলব না করার আবেদন জানিয়েছিলেন।
তুষার মেহতার যুক্তি এই মামলায় ইডির তদন্তের এক্তিয়ার “একটি এলাকা, থানা বা রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়” কারণ আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন (PMLA)-এর অধীনে অপরাধগুলির প্রায়ই “সীমানার প্রভাব” থাকে। তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় এক্তিয়ারের ধারণা, থানার ধারণা, থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের ধারণার বিষয়গুলি আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন তৈরির সময় আইনসভা এড়িয়ে গিয়েছে। এটি ৭১ নম্বর ধারা থেকেই স্পষ্ট।” সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, “এটি একটি খুব অদ্ভুত ধরনের অপরাধ। আমরা একটি অভিযোগ দায়ের করেছি (মামলায়) যা একটি চার্জশিটের মতো… অর্থ দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং তারপরে ব্যাংককে স্থানান্তরিত হয়েছিল। অপরাধের সঙ্গে দিল্লিরও যোগ রয়েছে। এটা এখন বলা যাবে না যে আমাকে দিল্লিতে ডাকা যাবে না।”
অন্যদিকে আবেদনকারীদের পক্ষে বর্ষীয়ান আইজীবী কপিল সিবাল যুক্তি দেন, তদন্তকারী সংস্থা আইনের বিধান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে, যাতে আবেদনকারীদের জাতীয় রাজধানীতে তলব করার নির্দিষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়। গত মাসে, তিনি দাবি করেছিলেন যে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আবেদনকারীদের দিল্লিতে তলব করার ক্ষমতা ইডির নেই। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে আর্থিক দুর্নীতি আইনের অধীনে কোনও তদন্ত হওয়া উচিত নয়। এটি তার মামলা নয়। তবে ইডিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় যেতে হবে। সিবালের আরও যুক্তি ছিল, কলকাতায় ইডির একটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে ভারতের কোনও জায়গায় তলব করতে পারে না তারা।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু, ইডির পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন, মামলাটি ইডি-র হেডকোয়ার্টার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিট থেকে তদন্ত করা হচ্ছে, যার একটি সর্বভারতীয় এক্তিয়ার রয়েছে। গত বছর দিল্লিতে উপস্থিতির জন্য জারি করা সমনকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আবেদনকারীদের দাবিতেও আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, আবেদনকারীরা বলছেন, তাঁরা কলকাতার বাসিন্দা। অথচ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাংসদ এবং সংসদের অধিবেশন চলাকালীন অবশ্যই এখানে থাকতে হয়। সেদিক থেকে দিল্লিও তাঁর ঠিকানা।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি : কয়লা দুর্নীতি (Coal Scam) মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) করা আবেদনে রায় সংরক্ষিত রাখল কোর্ট। সাম্প্রতিক অতীতে কয়লা দুর্নীতি মামলায় ইডি (Enforcement Directorate) দিল্লিতে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক ও রুজিরাকে ডেকে পাঠিয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট এই তলব থেকে স্বস্তি পেতে আবেদন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা। ইডির তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবালের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের বিচারপতি রজনীশ ভাটনগর জানান, “আমরা আজ এই মামলাটি শেষ করব। এই রায়, আমি সংরক্ষণ করছি।” ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এবং তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা তাঁদের নামে জারি করা ১০ সেপ্টেম্বরের সমনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সাংসদ এবং তাঁর স্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। সেক্ষেত্রে তাঁদের দিল্লিতে উপস্তিতির জন্য তলব না করার আবেদন জানিয়েছিলেন।
তুষার মেহতার যুক্তি এই মামলায় ইডির তদন্তের এক্তিয়ার “একটি এলাকা, থানা বা রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়” কারণ আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন (PMLA)-এর অধীনে অপরাধগুলির প্রায়ই “সীমানার প্রভাব” থাকে। তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় এক্তিয়ারের ধারণা, থানার ধারণা, থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের ধারণার বিষয়গুলি আর্থিক দুর্নীতি দমন আইন তৈরির সময় আইনসভা এড়িয়ে গিয়েছে। এটি ৭১ নম্বর ধারা থেকেই স্পষ্ট।” সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, “এটি একটি খুব অদ্ভুত ধরনের অপরাধ। আমরা একটি অভিযোগ দায়ের করেছি (মামলায়) যা একটি চার্জশিটের মতো… অর্থ দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল এবং তারপরে ব্যাংককে স্থানান্তরিত হয়েছিল। অপরাধের সঙ্গে দিল্লিরও যোগ রয়েছে। এটা এখন বলা যাবে না যে আমাকে দিল্লিতে ডাকা যাবে না।”
অন্যদিকে আবেদনকারীদের পক্ষে বর্ষীয়ান আইজীবী কপিল সিবাল যুক্তি দেন, তদন্তকারী সংস্থা আইনের বিধান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে, যাতে আবেদনকারীদের জাতীয় রাজধানীতে তলব করার নির্দিষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়। গত মাসে, তিনি দাবি করেছিলেন যে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আবেদনকারীদের দিল্লিতে তলব করার ক্ষমতা ইডির নেই। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে আর্থিক দুর্নীতি আইনের অধীনে কোনও তদন্ত হওয়া উচিত নয়। এটি তার মামলা নয়। তবে ইডিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় যেতে হবে। সিবালের আরও যুক্তি ছিল, কলকাতায় ইডির একটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে ভারতের কোনও জায়গায় তলব করতে পারে না তারা।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু, ইডির পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন, মামলাটি ইডি-র হেডকোয়ার্টার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিট থেকে তদন্ত করা হচ্ছে, যার একটি সর্বভারতীয় এক্তিয়ার রয়েছে। গত বছর দিল্লিতে উপস্থিতির জন্য জারি করা সমনকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আবেদনকারীদের দাবিতেও আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, আবেদনকারীরা বলছেন, তাঁরা কলকাতার বাসিন্দা। অথচ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাংসদ এবং সংসদের অধিবেশন চলাকালীন অবশ্যই এখানে থাকতে হয়। সেদিক থেকে দিল্লিও তাঁর ঠিকানা।