Pregnancy Termination: অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২৬ সপ্তাহ পরও ধর্ষিতা নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jul 21, 2022 | 1:01 PM

Minor Survivor: বিষয়টি নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। সেই মেডিক্যাল বোর্ড জানায়, ওই নাবালিকার গর্ভকাল ২৫ সপ্তাহ ৬ দিন। নাবালিকার বয়স ১৩ বছর।

Pregnancy Termination: অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২৬ সপ্তাহ পরও ধর্ষিতা নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট
দিল্লি হাই কোর্ট

Follow Us

নয়াদিল্লি: ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল দিল্লি হাই কোর্ট। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২৬ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও এই অনুমতি দিল আদালত। আদালের পর্যবেক্ষণ এই বয়সে ওই নাবালিকাকে মা হতে বাধ্য করলে তার মানসিক স্থিতি নষ্ট হতে পারে। ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া এক কিশোরীকে এই পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দেওয়া যায় না। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মাও ওই নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছেন। আবেদনকারীও মানসিক স্থিতি নষ্টের বিষয়টি নিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনই মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি।

এই নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি বলেছেন, “নিঃসন্দেহে আবেদনকারী ধর্ষণের শিকার। তার উপর নির্যাতন হয়েছে। এই নির্যাতনের জেরেই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে সে। এই ঘটনা তার স্বাভাবিক জীবনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তার মনের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠাকে রুদ্ধ করেছে। তার শারীরিক বৃদ্ধিতেও অবাঞ্ছিত প্রভাব পড়েছে। এই বয়সে যদি তাকে মা হতে হয়, তাহলে তার বাকি জীবনেও তা প্রভাব ফেলতে পারে, তার মানসিক স্থিতিও ভেঙে পড়তে পারে। সে এখন নির্ভরশীল। এই পরিস্থিতিতেও যদি তাকে ভ্রুণ শরীরে রাখতে হয়, তা তার শরীর এবং মনকে ট্রমার মধ্যে ঠেলে দেবে। এই বয়সে মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন নির্যাতিতা নাবালিকার পক্ষে সম্ভব নয়। সেই তাকে ঠেলে দিয়ে তা অকল্পনীয় পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।” এই পরিস্থিতি থেকে নাবালিকাকে মুক্তি দিতেই গর্ভপাতের নির্দেশ বলে জানিয়েছে আদালত।

বিষয়টি নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। সেই মেডিক্যাল বোর্ড জানায়, ওই নাবালিকার গর্ভকাল ২৫ সপ্তাহ ৬ দিন। নাবালিকার বয়স ১৩ বছর। গর্ভপাতের ২৪ সপ্তাহের সময়সীমাও এই ক্ষেত্রে পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা হলেও আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়টি আর পাঁচটি বিষয়ের থেকে আলাদা। সে জন্যই আদালত মেডিক্যাল বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে, গর্ভপাত করাতে নাবালিকার শরীরে কোনও প্রভাব পড়লে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। পাশাপাশি নাবালিকার ভ্রুণ সংরক্ষণের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে তা যদি কাজে লাগে সে জন্যই তা সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হল বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

Next Article