নয়া দিল্লি: দেশে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ(COVID-19)। আর সংক্রমণ বাড়ার অর্থই হল সুরক্ষাবিধি ফিরে আসা। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো করোনাবিধিগুলি যেকোনও দিনই ফিরিয়ে আনতে পারে কেন্দ্র। এদিকে, দুই বছরেরও বেশি সময় মাস্কের আড়ালে থাকায়, এখন অনেকেই মাস্ক (Mask) পরতে চান না আর। আপনিও যদি এই দলে পড়েন, তবে আপনার জন্য চিন্তার খবর রয়েছে। শুক্রবারই দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) তরফে জানানো হয়, বিমানবন্দর ও বিমানের ভিতরে থাকাকালীন যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এই নিয়মের অন্যথা হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে যাত্রীদের। এমনকি, প্রয়োজন মনে করলে উড়ান সংস্থা ওই যাত্রীকে বিমান থেকে জোর করে নামিয়েও দিতে পারে। করোনা সংক্রমণ রুখতেই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
সম্প্রতিই দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল বিমানের অন্দরে মাস্ক পরার নিয়ম নিয়ে। সেই আর্জিতে আদালতের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছিল যে বিমানবন্দর ও বিমানে কী কী করোনাবিধি অনুসরণ করে চলা উচিত, কারণ অধিকাংশ বিমানেই যাত্রীরা এই সমস্ত নিয়ম ভঙ্গ করছেন। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিপিন সাংঘির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, বিমানবন্দর ও বিমানের ভিতরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যাত্রীরা যাতে এই নিয়ম অনুসরণ করে চলেন, তার দন্য ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ-কেও কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়, “বিমানবন্দর ও বিমানের ভিতরে যথাযথভাবে করোনাবিধি অনুসরণ করে চলা উচিত। যদি কোনও যাত্রী এই নিয়ম অনুসরণ করতে না চান, তবে প্রয়োজনে তাদের জোর করে বিমান থেকে নামিয়েও দেওয়া যেতে পারে। খাবার ও পানীয় গ্রহণের সময় মাস্ক খোলা গেলেও, বাকি সময়টুকু মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক।”
ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কঠোরভাবে যাতে করোনাবিধি লাগু করা হয়, তার জন্য উড়ান সংস্থাগুলিকেও নয়া নির্দেশিকা জারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।