Delhi High Court: ‘বন্ধুত্ব ধর্ষণের লাইসেন্স দেয় না’, পকসো মামলায় অভিযুক্তের জামিন আর্জি খারিজ হাইকোর্টের
High Court News: বিচারপতি স্বর্ণ কান্ত শর্মার পর্যবেক্ষণ, 'অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা উভয়েই পরিচিত, সর্বোপরী তাঁরা বন্ধু। এমনটা হতেই পারে যে গোটা ঘটনাটি সম্মতির সঙ্গেই ঘটেছে। কিন্তু তারপরেও তা মেনে নেওয়া যায় না।' তাঁর সংযোজন, 'আমি যদি ধরেওনি তাঁরা বন্ধু। কিন্তু বন্ধুত্ব কখনওই কাউকে ধর্ষণ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখার এবং নির্যাতন করার লাইসেন্স দেয় না।'

নয়াদিল্লি: নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের জামিন খারিজ করল আদালত। বন্ধুত্বকে ঢাল করে যা খুশি তাই করা যাবে না বলেই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন জানায় এক অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ১৭ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই আবেদনের শুনানি শুরু হয় বিচারপতি স্বর্ণ কান্ত শর্মার এজলাসে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করেন তিনি।
বিচারপতি বলেন, এর আগের প্রায় চারবার একই ভাবে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন অভিযুক্ত। প্রত্যেকবারই তা খারিজ হয়েছে। কিন্তু তারপরও তিনি কোনও ভাবে তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। শুধু তা-ই নয়, প্রতিবারই নিজের জামিন আর্জিতে নির্যাতিতাকে ‘বন্ধু’ বলেও দাবি করেছেন অভিযুক্ত। গোটা ব্যাপারটাই ‘সম্মতিতে’ হয়েছে বলে দাবি তাঁর। অবশ্য, অভিযুক্তের এই সকল যুক্তি মানতে নারাজ আদালত।
বিচারপতি স্বর্ণ কান্ত শর্মার পর্যবেক্ষণ, ‘অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা উভয়েই পরিচিত, সর্বোপরী তাঁরা বন্ধু। এমনটা হতেই পারে যে গোটা ঘটনাটি সম্মতির সঙ্গেই ঘটেছে। কিন্তু তারপরেও তা মেনে নেওয়া যায় না।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি যদি ধরেওনি তাঁরা বন্ধু। কিন্তু বন্ধুত্ব কখনওই কাউকে ধর্ষণ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখার এবং নির্যাতন করার লাইসেন্স দেয় না।’
মামলার নেপথ্যে
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই নির্যাতিতার প্রতিবেশী। ঘটনার দিন সে ওই নাবালিকাকে তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায়। তারপরেই সেখানে চলে নারকীয় অত্যাচার। নাবালিকাকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। চলে মারধরও। এই ঘটনার প্রায় ১১দিন পর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে নাবালিকার পরিবার। কিন্তু কেন এতটা দেরি হল? হুমকি নাকি অন্য কোনও তত্ত্ব। অবশ্য অভিযুক্তের দাবি, সবটাই সম্মতিতে হয়েছিল। অন্যদিকে, নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, নিরাপত্তাহীনতা ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার কথা। যা মেনে নিয়েছে আদালতও। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এই দেরি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এমন একটা ঘটনা যে কাউকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে।’
