নয়া দিল্লি: এবার নতুন ইস্যুতে দিল্লির অরবিন্দ কেজরীবাল (Arvind Kejriwal) সরকারের ওপর চাপ বাড়ালেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা (VK Saxena)। রাজধানীর স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ নিয়ে যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল আড়াই বছর কেটে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স বিভাগ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, এই নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। আবগারি নীতি (Excise Policy) নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর পর, আরও একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেজরীবাল সরকারের বিরুদ্ধে লেফটেন্যান্ট গভর্নর যে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন, তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়নে পদ্ধতিগত ত্রুটি ও অনিয়মতার কারণে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (Central Vigilance Commission) দিল্লির সচিবের কাছে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছিল এবং সেই নিয়ে পরবর্তী তদন্ত ও পদক্ষেপের সুপারিশ করেছিল। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনে করেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে রিপোর্ট পাওয়ার পরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই কারণে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। রিপোর্টের পর ব্যবস্থা না নেওয়াও সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের নিয়মের বিরুদ্ধে। লেফটেন্যান্ট গভর্নেরর সচিবালয়ে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের রিপোর্ট সহ একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্যে, দিল্লি সরকারের নতুন আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন ভিকে সিনহা। এই দুর্নীতির পিছনে সরসারি উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ছিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এমনকী সিবিআই তদন্তের আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কেজরীবালের বিশেষ আস্থাভাজন মণীশ সিসোদিয়া বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। যদিও এই সিবিআই অভিযান নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে আম আদমি পার্টি। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, আবগারি নীতি নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে এবং তাঁর ‘মূলমাথা’ অরবিন্দ কেজরীবাল। আগামীদিন এই মামলা নিয়ে পরিস্থিতি কোনদিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।