Delhi Murder: প্রেমিকাকে টুকরো-টুকরো করে ধাবার ফ্রিজে রেখে অন্যত্র বিয়ে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে গ্রেফতার ‘রোমিও’

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Feb 14, 2023 | 10:21 PM

শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি! ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে দিল্লি থেকেই গ্রেফতার রোমিও।

Delhi Murder: প্রেমিকাকে টুকরো-টুকরো করে ধাবার ফ্রিজে রেখে অন্যত্র বিয়ে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে গ্রেফতার রোমিও
লিভ-ইন সঙ্গিনীকে খুন দিল্লির যুবকের।

Follow Us

নয়া দিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walker) হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি! লিভ-ইন সঙ্গিনীকে খুন করে দেহ টুকরো-টুকরো করে ধাবার ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেয় প্রেমিক। এবারও ঘটনাস্থল সেই দিল্লি (Delhi)। মঙ্গলবার ভ্যালেন্টাইন্স ডে (Vallentine’s Day)-তেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এখানেই শেষ নয়, লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ টুকরো-টুকরো করে ফ্রিজে সংরক্ষিত করার পর একেবারে নির্দোষ সেজে অন্য মহিলাকে বিয়েও করে যুবক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারিই ওই রোমিওকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম সাহিল। দিল্লির নজফগঢ়ের মিত্রাও গ্রামের বাসিন্দা সাহিল ২২ বছরের তরুণী নিকিকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর দেহ টুকরো-টুকরো করে। তারপর সেই টুকরো টুকরো দেহাংশ দিল্লি সীমান্তের বাইরে মিত্রাও গ্রামে নিজের ধাবার ফ্রিজে সংরক্ষিত করে রাখে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘটনাটি ঘটলেও প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে। এদিনই অভিযুক্ত রোমিওকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মিত্রাও গ্রামের বাসিন্দা সাহিল এবং হরিয়ানার ঝর্জ্ঝরের বাসিন্দা নিকির মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৮ সালে উত্তমনগর এলাকায় একটি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় থেকেই তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। গ্রেটার নয়ডায় একই কলেজে পড়াশোনা করতেন তাঁরা। কলেজের পাশেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতেনষ এরপর করোনা মহামারীর সময়ে লকডাউনে তাঁরা নিজেদের বাড়ি ফিরে গেলেও লকডাউন পর্ব শেষ হলে তাঁরা ফের একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। দ্বারকা এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাঁরা।

নিকির সঙ্গে লিভ-ইনে থাকলেও শাহিল কখনও তাঁর বাড়িতে এই সম্পর্কের কথা‌ জানাননি। ফলে সাহিলের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে পরিবার। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তার বিয়ের দিন ছিল। সাহিলের বিয়ের প্রাক্কালে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি জানতে পারেন নিকি। প্রেমিকের এই আচরণ, প্রেমিকের অন্য কোথাও বিয়ে করতে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি তিনি। ফলে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে সাহিলের সঙ্গে তাঁর তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। সেই রাতে কাশ্মীরি গেটের কাছে একটি বাড়িতে ছিলেন তাঁরা। সেখানেই সাহিল তার মোবাইলের ডেটা কেবিল দিয়ে নিকির গলা পেঁচিয়ে, শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ।

মিত্রাও গ্রামে সাহিলের নিজস্ব ধাবা ছিল। নিকিকে খুন করার পর ঘটনাটি গোপন করতে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ওই ধাবার ফ্রিজে রেখে দেয় সাহিল। তারপর সে একেবারে ভাল ছেলের মতো বাড়ি ফিরে যায় এবং পরিবারের দেখা মেয়েকে বিয়েও করে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ভ্যালেন্টাইন ডে-তেই তার কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসে এবং সাহিলকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ড শ্রদ্ধা ওয়াকারের ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা শ্রদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালার সঙ্গে লিভ-ইনে ছিলেন। তারপর সেই প্রেমিকের হাতেই নৃশংস পরিণতি হয় তাঁর। শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে দীর্ঘদিন বাড়ির ফ্রিজে সংরক্ষিত করে রেখেছিল আফতাব। প্রেমিকার দেহাংশ সংরক্ষণের জন্য ৩০০ লিটারের নতুন ফ্রিজও কিনেছিল আফতাব। দীর্ঘদিন সেখানে শ্রদ্ধার দেহাংশ সংরক্ষিত ছিল। তারপর সেগুলি জঙ্গলে ফেলে দেয় আফতাব। অবশেষে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর গত ১২ নভেম্বর দিল্লি পুলিশ আফতাবকে গ্রেফতার করে এবং গ্রেফতারির ৭৫ দিন পর ৬ হাজার ৬৩৬ পাতার চার্জশিট আদালতে পেশ করে। পুলিশি জেরায় শেষ পর্যন্ত শ্রদ্ধাকে নৃশংশভাবে হত্যা করে দেহ টুকরো টুকরো করার কথা স্বীকারও করেছে আফতাব।

 

Next Article