নয়া দিল্লি: শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দিল্লির মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণ করা হবে ৪ ডিসেম্বর আর গণনা হবে ৭ ডিসেম্বর। ওই দিনই ফল প্রকাশ করা হবে। চলতি বছরের মে মাসেই উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের একীকরণ করে একটিই পুর সংস্থায় পরিণত করা হয়েছিল। এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বিজয় দেব জানিয়েছেন, এর আগে তিনটি পুরসভার মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ২৭২। একীকরণের পর নতুন ওয়ার্ড সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০-এ। পুর এলাকাগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাসের সঙ্গে সঙ্গে ভোটকেন্দ্রগুলিরও পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
বিজয় দেব বলেন, “আমরা এখন দিল্লিতে ২৫০টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত। ৬৮টি বিধানসভা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ওয়ার্ডগুলি। এসসিদের জন্য সংরক্ষিত ৪২টি আসন। এই ৪২ আসনের মধ্যে ২১টি আসন সংরক্ষিত থাকবে তফশিলি উপজাতির মহিলাদের জন্য। মহিলাদের জন্য মোট ১০৪টি আসন সংরক্ষিত থাকবে।” এর আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যনত যাঁরা ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করেছেন, শুধুমাত্র তারাই দিল্লি পুর নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। ওই তারিখ পর্যন্ত দিল্লির ভোটার তালিকায় নাম ছিল প্রায় ১.৪৮ কোটি মানুষের।
২০০৭ সাল থেকেই উত্তর দিল্লি পুর কর্পোরেশন, দক্ষিণ দিল্লি পুর কর্পোরেশন এবং পূর্ব দিল্লি পুর কর্পোরেশন – তিন পুর সংস্থারই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এবার তাদের কড়া চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত আম আদমি পার্টি। ইতিমধ্য়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেসও। এদিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তা এক যজ্ঞের মাধ্যমে আসন্ন পুর নির্বাচনের জন্য দলীয় নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।
আসন্ন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর জন্য, আবর্জনা মোকাবিলাকেই প্রধান ইস্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে আপ। কেজরীবাল দাবি করেছেন, দিল্লির জনগণ বিজেপিকে একটিই কাজ দিয়েছিল, জঞ্জাল পরিষ্কার করার। কিন্তু, গত ১৫ বছরে ভারতের রাজধানীকে আবর্জনার স্তূপে পরিণত করেছে তারা। গত ১৫ বছরে তাদের করা অন্তত একটি ভালো কাজ দেখানোর জন্য বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি।