নয়া দিল্লি: হাজারো আপত্তি, ওয়াক আউট করা সত্ত্বেও লাভ হয়নি কিছু, লোকসভায় (Lok Sabha) পাশ হয়েছে দিল্লি অধ্যাদেশ বিল (Delhi Ordinance Bill)। এবার পালা রাজ্যসভার। আজ, সোমবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পেশ করা হতে পারে দিল্লি অধ্যাদেশ বিল, যা ঘিরে এত বিতর্ক। সংসদের দুই কক্ষে এই বিল পাশ হয়ে গেলেই তা আইনে পরিণত হবে। তখন আর দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) আপত্তি ধোপে টিকবে না। একদিকে যেখানে এই বিল পাশ করতে কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তেমনই আবার বিল পাশ রুখতে এককাট্টা বিরোধীরাও। জানা গিয়েছে, আজ হুইপ জারি করেছে আম আদমি পার্টি (AAP) ও কংগ্রেস (Congress)। সমস্ত সাংসদদের আজ সংসদে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
লোকসভায় দিল্লি অধ্যাদেশ বিল পাশ করাতে কেন্দ্রকে বিশেষ কোনও সমস্যায় পড়তে না হলেও, চিন্তা ছিল রাজ্যসভা নিয়েই। কারণ সেখানে বিল পাশ করানোর জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বিজেপির। তবে দিল্লি অধ্যাদেশ বিল নিয়ে যখন কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টির পাশে দাঁড়াচ্ছিল, সেই সময়ই বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশার শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও বিজেডি। দুই দলই দিল্লি অধ্যাদেশ বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন করবে বলেই জানিয়েছে।
রাজ্যসভায় বর্তমানে মোট সদস্য সংখ্যা ২৩৭। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ১১৯ জন সাংসদের সমর্থন। বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গীদের মিলিয়ে মোট ১০৫ জন সদস্য সংখ্যা রয়েছে। ওড়িশার বিজু জনতা দল ও অন্ধ্র প্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ৯ জন করে সাংসদ রয়েছে। এছাড়া ৫ জন মনোনীত সাংসদ ও ২ জন নির্দল সাংসদদের সমর্থন যদি পায় বিজেপি, তবে তাদের মোট ভোটের সংখ্য়া ১৩০-এ পৌঁছবে। এরফলে রাজ্যসভাতেও দিল্লি অধ্যাদেশ বিল পাশ করাতে কোনও সমস্যা হবে না।
অন্যদিকে, বিরোধী জোটের মোট ১০৪ জন সাংসদ রয়েছে রাজ্যসভায়। এরমধ্য়ে বেশ কয়েকজন সাংসদ গুরুতর অসুস্থ, ফলে আজকের অধিবেশন ও ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংকে আবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি সহ আরও দুটি দল ভোটাভুটিতে অংশ নেবে না বলেই জানা গিয়েছে। ফলে বিরোধীদের সংখ্য়াগরিষ্ঠতা ছোঁয়া প্রায় অসম্ভব। কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির তরফে হুইপ জারি করা হয়েছে আজ সমস্ত সাংসদদের উপস্থিত থাকার জন্য। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই লোকসভায় বিরোধীরা ওয়াক আউট করলে, ধ্বনিভোটের মাধ্য়মে দিল্লি অধ্যাদেশ বিল পাশ করানো হয়।