নয়া দিল্লি: রাজধানী দিল্লিতে তৈরি হতে চলেছে ২৫০টি ‘পিঙ্ক পার্ক’। এই পার্কগুলিতে পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। এগুলি হবে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। দিল্লির ডেপুটি মেয়র আলি মহম্মদ ইকবাল জানিয়েছেন, তাঁরা দিল্লি পুর নিগমের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ‘পিঙ্ক পার্ক’ স্থাপন করবেন। শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য এই পার্কগুলি স্থাপনের জন্য জায়গা চিহ্নিত করার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই পার্ক তৈরির লক্ষ্য হল শহরে একান্ত মহিলাদের জন্য কিছু স্থান তৈরি করা, য়েখানে তাঁরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
ডেপুটি মেয়র আলি মহম্মদ ইকবাল বলেছেন, “সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে এক বৈঠকে, আমি পুরনো দিল্লিতে আমার ওয়ার্ডে একটি ‘পিঙ্ক পার্ক’-এর উদাহরণ দিয়েছিলাম। সমস্ত ওয়ার্ডেই এই ধরনের পার্ক স্থাপন করা যেতে পারে বলে, সুপারিশ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আমার ভাবনার সঙ্গে একমত হয়েছিলেন। পরে, পুর নিগমের উদ্যানপালন বিভাগের এক সভায়, আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম যে প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে এমন পার্ক থাকা উচিত।”
ইকবাল জানিয়েছেন, পাইলট প্রকল্প হিসাবে তাঁর নিজ ওয়ার্ড চাঁদনি মহলের মাতা সুন্দরী রোডে একটি ‘পিঙ্ক পার্ক’ স্থাপন করা হয়েছে। এই পার্কগুলিতে মহিলাদের সঙ্গে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা থাকতে পারে। তার বেশি বয়সী পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। ‘পিঙ্ক পার্কে’ থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি, টয়লেট, জিম, আরাম করার জায়গা, গ্রাফিতি-সজ্জিত দেওয়াল ইত্যাদি। অন্যান্য ওয়ার্ডেও একই মডেলের অনুকরণ করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাই চিহ্নিত করবেন তাঁদের নিজ নিজ ওয়ার্ডের কোথায়, কোন পার্ককে ‘পিঙ্ক পার্কে’ রূপান্তরিত করা হবে। অন্যান্য দলের কাউন্সিলররাও এই উদ্যোগে শাসক দলের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ডেপুটি মেয়র।
তবে, শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য পার্ক স্থাপন করা কোনও নাগরিক সংস্থার পক্ষে সম্ভব কি না, ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, পুরুষদের কোনও পার্ক ব্যবহার করতে বাধা দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিরা পার্কে হাঁটাহাঁটি করে থাকেন। পুরুষদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন।