নয়া দিল্লি: দিল্লির রামলীলা ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসকে তাদের ধরনা কর্মসূচি করার অনুমতি দিল না দিল্লি পুলিশ। তবে, ৩ অক্টোবর দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনা অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তারপরও অবশ্য রামলীলা ময়দান এবং কৃষি ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচিতে অনড় তৃণমূল নেতৃত্ব। এখনও পর্যন্ত মৌখিকভাবে সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি পুলিশ। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তৃণমূল, তারপর তারা আদালতের দ্বারস্থ হবে।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বাংলার বকেয়া না মেটানোর প্রতিবাদে, ৩১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে দিল্লির রামলীলা ময়দানে অবস্থান বিক্ষোভ করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তার জন্য ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, ২ ও ৩ অক্টোবর কৃষি ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এই সব কর্মসূচির জন্য এখনও পর্যন্ত দিল্লি পুলিশকে ৪টি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কোনও চিঠিরই জবাব আসেনি বলে, জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে ধরনা দেওয়ার জন্য, ১ অক্টোবরের মধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্ব দলীয় সব সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের দিল্লিতে উপস্থিত হওয়ায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২ অক্টোবর, রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে যাবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। মহাত্মাকে শ্রদ্ধা জানিয়েই দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা অবস্থান কর্মসূচির সূচনা হবে। একই সময়ে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা দেবেন বাংলায় থাকা তৃণমূল নেতারা। পাশাপাশি সকল গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে গান্ধীজির ছবি রেখে শ্রদ্ধা জানানো হবে। পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই স্ক্রিন টাঙিয়ে দিল্লির কর্মসূচি দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। গ্রামের মানুষের বকেয়া নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব যে দিল্লিতে প্রতিবাদ করছেন, তা গ্রামের মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।
৩ অক্টোবর, যন্তরমন্তর থেকে পদযাত্রা করে কৃষিভবন যাবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সকল সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাতিপতিরাও অংশ নেবেন এই কর্মসূচিতে। অংশ নেবেন কয়েকজন কাউন্সিলরও। ‘বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা’ নিয়ে ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে তৃণমূল নেতারা কৃষিভবনে যাবেন। পদযাত্রার আগে যন্তরমন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন নেতৃত্ব।