নয়া দিল্লি: দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের (Delhi Shraddha Murder Case) ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। এই ঘটনায় পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজের বান্ধবীকে খুন করে ৩৫ টুকরো করে স্থানীয় জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুঁতে ফেলা হয়েছিল। শ্রদ্ধাকে খুন করে ফ্রিজে দেহের অংশ রাখা হয়েছিল। সেই সময়ও বাড়িতে নতুন বান্ধবীদের নিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত আফতাব। ডেটিং অ্যাপ বাম্বেলেই তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আফতাবের। এবার দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোন কোন মহিলার সঙ্গে আফতাবের সাক্ষাৎ হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য হাতে পেতে এবার বাম্বল ডেটিং অ্যাপকে চিঠি পাঠাতে পারে দিল্লি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে এই ডেটিং অ্যাপেই আফতাব আমিন ও শ্রদ্ধা ওয়াকারের আলাপ হয়। তারপরই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। দিল্লিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে আফতাব ও শ্রদ্ধা। তারপর তাদের মধ্যে কী ঘটে তা এখন গোটা দেশের সামনে। গত ১৮ মে শ্রদ্ধাকে কুপিয়ে খুন করে আফতাব। জানা গিয়েছে,একদিকে শ্রদ্ধার দেহাংশ যখন ফ্রিজে শীতল পরিবেশে, সেই সময় বাড়িতে বান্ধবীদের নিয়ে আসত আফতাব। কোন কোন বান্ধবীদের সেই সময় আফতাবের ফ্ল্যাটে যাতায়াত ছিল তাদের তালিকা পেতে চায় দিল্লি পুলিশ। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের পিছনে সেই মহিলাদের কোনও হাত ছিল কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ‘আফতাবের প্রোফাইলের বিস্তারিত তথ্য পেতে বাম্বলকে চিঠি লিখতে পারে দিল্লি পুলিশ। শ্রদ্ধার দেহাংশ ফ্রিজে থাকাকালীন কোন কোন মহিলা তার বাড়িতে যেতেন তা জানতে চায় পুলিশ।’ এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করতে জঙ্গল এলাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবার শ্রদ্ধার ১২টি দেহাংশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই দেহাংশগুলিকে আপাতত ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।