নয়া দিল্লি: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করাই পুলিশে কাজ। সমাজে হওয়া বিভিন্ন অপরাধ রোধে দিল্লি পুলিশের বড় ভূমিকা থাকে। কোথাও বোমা রাখা আছে, এই খবর পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজও পুলিশের। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দিল্লি পুলিশকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়, কারণ গোটা রাজধানীর নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের কাঁধে। এহেন দিল্লি পুলিশ কি না, ৩০ টি স্থানে বোমা রেখেছিল(Fake Bomb Planted)! সন্ত্রাসবাদীরা যে কাজ করতে অভ্যস্থ কেন সেই কাজ করেছিল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)? সম্প্রতি পুলিশের এহেন কাজের কারণ জানা গিয়েছে। খোদ দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকেই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় ৩০টি ভুয়ো বোমা রেখেছিল দিল্লি পুলিশ। মূলত জনবহুল স্থানেই বোমাগুলিকে রাখা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশে জানিয়েছে, রাজধানীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তারা কতটা প্রস্তুত তা খতিয়ে দেখতেই বোমা গুলি রাখা হয়েছিল।
বিগত এক মাস ধরে বিভিন্ন স্থানে বোমাগুলি রাখা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ভুয়ো বোমাগুলি আইইডির ধাঁচে তৈরি করা হয়েছিল। আশ্চর্যজনকভাবে ৩০টি বোমার মধ্যে মাত্র ১২টির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণ মানুষ, নিরাপত্তারক্ষী অথবা খোদ পুলিশকর্মীরাই বোমা গুলি খুঁজে পেয়েছিলেন। সম্প্রতি বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী নূপূর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দিল্লি, মুম্বই, উত্তর প্রদেশ ও গুজরাটে আত্মঘাতী হামলার হুমকি দিয়েছিল কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা।
পুলিশের স্পেশাল সেলের বিশেষ কমিশনার হরগোবিন্দ সিং ঢালিওয়াল দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানার কাছে গোটা ঘটনা এবং মহড়া ‘প্রেজেন্টেশন’ আকারে পেশ করেন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে প্রথম ধাপে ১২ জুন ১৫টি ভুয়ো আইইডি বোমা রাখা হয়েছিল, তারমধ্যে ১০টির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ২৮ জুন দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৫টি ভুয়ো বোমা রাখা হয়েছিল যারমধ্যে মাত্র ২টি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। দিল্লির পুলিশের স্পেশ্যাল সেল বোমাগুলিকে ডাস্টবিন, ফুলদানি, অথবা বিভিন্ন বাজারে রেখেছিল। জানা গিয়েছে, রাজধানীর বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশন ও অন্যান্য জায়গা গুলিতেও এই ধরনের মহড়ার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের।